নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি, ইমদাদুল হক দুলাল ) : রূপগঞ্জের বাসিন্দা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চৌধুরীপাড়ার রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র কোরআনের হাফেজ সাব্বির হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর শিক্ষার্থীর লাশ ১১ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ২২ই মার্চ সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াহিদ হোসেনের নেতৃত্বে সাব্বির হোসেনের লাশ উত্তোলন করা হয়। সে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা শান্তিনগর গ্রামের চায়ের দোকানদার জামাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সাব্বির হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চৌধুরীপাড়ার রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদ্রাসার হেফজখানার ভর্তি করা হয়। ২০২১ সালের ১০ মার্চ সাব্বিরের লাশ মাদ্রাসা ভবনের ছাদ থেকে উদ্ধার করে সাব্বিদের বরপা শান্তিনগর গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে সাব্বিরকে গোসল করানোর সময় তার ঠোঁটে, মাথার ডান দিকে ও কপালসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ সময় সাব্বিরের পিতা জামাল হোসেন পুত্রের শোকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন তাদের নির্ধারিত সময়েই সাব্বিরের লাশ দাফন করা হয়। এরপরে জামাল হোসেনের জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি গত ১১ই মার্চ রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদ্রাসায় যান। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথাবার্তার অসংলগ্নতায় সাব্বির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পিতার সন্দেহ হয়। গত ১২ই মার্চ জামাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শ্রেণি শিক্ষক ক্বারী মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন (২৬), শিক্ষক আজিজুল হক (৪২), সাখাওয়াত হোসেন (২৬), মাদ্রাসার ছাত্র ও সাব্বিরের সহপাঠী শামীম আহম্মেদ (১৬), মাহমুদুল হাসান (১৬), আবু তালহা (১৫ ও আবু বক্করকে (১৬) গ্রেফতার করে। তারা এখন জেল হাজতে রয়েছেন। সাব্বিরের মা ও জাহানারা বেগম বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাব্বিরকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সাব্বিরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।