নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে এক শতাংশ জমির উপড় নির্মিত দোকানঘর জোরপুর্বক দখলে নিতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা এক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এসময় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। এতে প্রতিবাদ তার পরিবারের করায় মুক্তিযোদ্ধাসহ চার সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের কুড়িয়াইল এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক জানান, তার বাড়ি কুড়িয়াইল এলাকায়। তিনি আতলাপুর বাজার এলাকার এক শতাংশ জমির উপড় দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। একই এলাকার প্রতিপক্ষ মাওলা ও নাঈম দোকানঘরের মালিক দাবি করে দীর্ঘ দিন ধরে জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। গত ৩১শে মে দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের প্রথম স্ত্রী অজুফা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মজিদা বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় তিনি রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামী শাহজালাল জামিনে বেরিয়ে আসার পরই মাওলা ও নাঈমের নেতৃত্বে মাসুদ, নিশুক, শামিম, মাসুম, শাহজালাল, সুমনসহ প্রায় ১৫/২০ জন সোমবার দুপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। বাঁধা দিলে মেয়ে মাকসুদা, ও সম্পাকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা দোকানঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হকের ছেলে রাজু প্রধান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের সংবাদে মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা ফের শসস্ত্র অবস্থায় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্তনে আনেন।
অভিযুক্ত নাঈম ও মাওলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন।