নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মাওলা (১৬) নামে এক কিশোরকে তার তিন বন্ধু মিলে হাত পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর থেকেই হত্যাকারীদের আরেক সহযোগী সাইফুল মামলা তুলে নিতে নিহতের পিতাকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বাদী এখলাছ আলীসহ তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নিহত মাওলার সাথে তারাইল এলাকার লিটনের মেয়ে স্থাণীয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী লামিয়ার সাথে প্রেম ছিল। মাওলারই বন্ধু তারাইল এলাকার নাছিমও লামিয়াকে ভালবাসতো। নাছিম লামিয়ার জীবন থেকে মাওলাকে সরে যেতে হুমকি দেয়। এরই জের ধরে নাছিম ও তার সহযোগী বন্ধু সবুজ, কাউসারসহ কয়েকজন মিলে মাওলাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় অটোরিক্সা চালক মাওলাকে রিজার্ভ ট্রিপের কথা বলে একই এলাকার তার বন্ধু কাউসার ও সবুজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ী থেকে অটোরিক্সাসহ তাকে ডেকে নিয়ে গেলে সে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজের পিতা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
নিখোঁজের তিন দিন পর ১৬ নভেম্বর মাওলার মোবাইল ফোনসহ কাঞ্চন পৌরসভার তারাইল এলাকার মানিকের ছেলে নাছিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে তার সহযোগী পাইস্কা এলাকার সানাউল্যার ছেলে কাউসার ও মান্নানের ছেলে সবুজকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেখানো মতে শনিবার দুপুরে পুলিশ পূর্বাচল উপশহরের ১০ নম্বর সেক্টরের ৩১৬নং রাস্তার ৮ নং প্লটের ঝোপের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাওলার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা ৩ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৪৬)। মামলা দায়েরর পর থেকেই হত্যাকারীদের আরেক সহযোগী সাইফুল মামলা তুলে নিতে নিহতের পিতাকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি গত ১১ নভেম্বর রাতে সাইফুল তার বাহিনীর লোকজনকে নিয়ে মাওলার বাড়িতে ঢুকে তাকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। মামলা তুলে না নিলে মাওলাসহ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা মামলার বাদী মাওলাসহ তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখব।