নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে তুচ্ছ ঘটনা ও পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন সুইটি (১২) এক স্কুল ছাত্রী ও জুবায়েত (৬) নামে এক শিশুকে ছুড়িকাঘাত ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার সকালে উপজেলার তারাবো পৌরসভার আড়িয়াবো ও দিঘী বরাব এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। শিশু জুবায়েত দিঘী বরাব এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও স্কুল ছাত্রী সুইটি আড়িয়াবো এলাকার মোমেন মিয়ার মেয়ে।
সুইটির মা আনোয়ারা বেগম জানান, গত শনিবার দুপুরে জুতা ছিড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার আল-আমিনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আনোয়ারা বেগমের ঝগড়া হয়। রবিবার সকালে তার মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী সুইটি জুতা কেনার জন্য বরপা বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ আল আমিন, জরিনা, শান্তা আক্তার, রিয়া আক্তার জোরপুর্বক তাকে নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে নাসির মিয়ার মাছের প্রজেক্টে সুইটিকে বেধড়ক পেটায়। এসময় ব্লেড দিয়ে তার গলায় ও ডান হাতে রক্তাক্ত জখম করে। পরে পানিতে ফেলে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। সুইটির আতœচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অপর দিকে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে দিঘী বরাব এলাকার খালেক মজুমদারের ছেলে রবিউল মজুমদারের পুর্ব শত্রুতা রয়েছে। সকালে বাড়ির পাশের একক মীরের জমির সামনে খেলাধুলা করছিলো জুবায়েত। এসময় জুবায়েতকে চরথাপ্পর মারে প্রতিপক্ষ রবিউল মজুমদার। এক পর্যায়ে বাম হাতের কব্জিতে ছুড়িকাঘাত করে। পরে জুবায়েত চিৎকার শুরু করলে গলায় চেপে ধরে পানির নিচে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
আশ-পাশের লোকজন জুবায়েতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে দেখে রবিউল মজুমদার পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জুবায়েতকে ক্লিনিকেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করে। বিষয়টি অভিযুক্তের পিতা খালেক মজুমদারকে জানালে তিনি বলেন এ বিষয়ে বারাবারি করলে শিশু জুবায়েতকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, পৃথক ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।