নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান সবুজের হাতের রগ কেটে যায়। সেই সঙ্গে এক পক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে অপর পক্ষ। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পাঁচাইখা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাঁচাইখা এলাকার ব্যবসায়ী মনির হোসেনের মালিকানাধীন পুকুরে বালু ভরাটের কাজ পায় নাজমুল হাসান সবুজ। বালু ভরাট করার জন্য পাইপ লাইন স্থাপন করার কাজে প্রতিপক্ষ এমরান হোসেনসহ তার লোকজন বাঁধা প্রদান করে আসছে। সোমবার সন্ধ্যায় এমরানসহ তার লোকজন ফের বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে রাতে এমরান হোসেনের লোকজনের সঙ্গে নাজমুল হাসান সবুজের লোকজনের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজন ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
এসময় নাজমুল হাসান সবুজের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এদের মধ্যে নাজমুল হাসান সবুজকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও এমরান হোসেনের ছোট ভাই ইমনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে আহত নাজমুল হাসান সবুজ বলেন, আমরা পুকুর ভরাটের কাজটি পেয়ে পাইপ লাইন স্থাপন করতে গেলে এমরানসহ তার লোকজন চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় পাইপ স্থাপনে বাধা দেয় তারা। এ নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সবুজকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। হামলাকারীরা এলাকাছাড়া। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।