নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জের ঘরে ঘরে হঠ্যাৎ করেই ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হলেও শিশুদের সংখ্যা তুলনামূলকবেশি। ফলে উপজেলার সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ও ফার্মেসীগুলোতে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ অনেক বেড়েছে। তবে এ জ্বরের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিরূপ আবহাওয়াকেই চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
উপজেলার কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিটি হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তি সর্দি, হাঁচি ও কাশি থেকে বাতাসের মাধ্যমে এ ভাইরাস একজনের শরীর হতে আরেকজনের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে কোন পরিবারের একজন এ জ্বরে আক্রান্ত হলে ওই পরিবারের সবারই এ রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা বেশি থাকে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বরপা লাইফ এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রায়হানা সুলতানা বলেন, গত তিনদিনে এক এক করে তার পরিবারে তিনজন সদস্য ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত তিনদিন জ্বরে ভোগার পর সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তিনি। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসেন দাউদপুরের বেলদী এলাকার জসিম মিয়া। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি ভাইরাস জ্বরে ভুগছেন। স্থানীয় ফার্মেসীতে চিকিৎসাও নিয়েছেন। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। তিনি বলেন, ভাই এলাকায় ঘরে ঘরে এ জ্বর।
বরপা লাইফ এইড হাসপাতালের চিকিৎসক দম্পত্তি ডা. তানজীল হাসান ও আফরুন্নেসা মুনা বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের সময় এ ধরণের ভাইরাস রোগ দেখা দেয়। ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি সর্দি, কাশি, গলা ও গা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দেয়। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে এ জ্বর সেরে যায়। কিন্তু এ সকল রোগে আক্রান্তদের আলাদাভাবে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, প্রতিদিনই জ্বরের রোগী প্রচুর আসছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।