নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জ উপজেলার হারিন্দা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী এমরান মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা এখনো অধরা। আসামীদের মধ্যে মিছির আলী ও দুলাল মিয়া হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন। জামিন নেয়ার পর আসামীরা মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে। উল্লেখ,গত ১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে হারিন্দা এলাকার কোট বাড়ির গোপ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদের মাছের ঘেরের ঝোপ থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই লাশটি এমরান মোল্লার লাশ বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা বালুর টাকার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে হাত-পা ও গলা কেটে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহত এমরান মোল্লার বড় ভাই মোস্তফা মোল্লা বাদী হয়ে হারিন্দা এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রমজান, হরজু মিয়ার ছেলে দোহাই, নুর মোহাম্মদের ছেলে মিছির আলী, দুলাল মিয়া, আবু সাঈদের ছেলে রাজিব মিয়া, পিতলগঞ্জ এলাকার মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই লাশটি এমরান মোল্লার কিনা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ডিএনএ রিপোর্ট এখনও পুলিশের হাতে এসে পৌছায়নি। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র হাতে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হারিন্দার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন এমরান মোল্লা। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর এমরান মোল্লার বড় ভাই বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকালে হারিন্দা এলাকার কোট বাড়ির গোপ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদে মাছ ধরার সময় মাছের ঘেরের খুটি উঠাতে গিয়ে পঁচা-গলা লাশ ভেসে উঠে। ওই লাশটি এমরান মোল্লার লাশ বলে সনাক্ত করেন বড় ভাই মোস্তফা মোল্লা।
উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বলেন, ময়না তদন্ত ও ডিএনএন টেস্টের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া গোলাম রসুল ও রুবেল মিয়া নামে দুই জনকে সন্দেহজনক ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।