নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাহনা এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলায় নারীসহ ১৫ জন আহতের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৪ নভেম্বর শনিবার বিকালে উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য। তার পিতার নাম মৃত বিল্লাল হোসেন ভুইয়া।
মামলার বাদীর বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, গত বুধবার সকালে মাহনা এলাকার মনির হোসেন নিজস্ব জমিতে দিয়ে ড্রেনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষ মান্নান মিয়া বাঁধা প্রদান করেন। এ নিয়ে মান্নান মিয়াসহ তার লোকজন মনির হোসেনকে চর থাপ্পর মারে। মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনরা মনির হোসেনের বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেতে গিয়ে চরথাপ্পরের ঘটনা শুনে প্রতিবাদ করেন। এসময় প্রতিপক্ষ মান্নান মিয়াসহ তার লোকজন মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজের প্রতিবাদ করতে গেলে বাকবিতন্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে মনির হোসেনের শশুর বাড়ির আত্বীয় স্বজনদের দুটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে মান্নান ও তার লোকজন। গাড়ি ভাংচুরে সহযোগীতা করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
এক পর্যায়ে উদ্দেশ্য প্রণোনিত ভাবে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মান্নান মিয়াসহ তাদের লোকজন এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করিয়ে ধারালো অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মনির হোসেনের আত্বীয় স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় নারীসহ ১৫ জনের মতো আহত হয়। এদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও সাইফুল ইসলামের নারী ভুরি বের করে দেয়া হয়। এরা দুই জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়া আশরাফ ও রাজু আহাম্মেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ ঘটনায় মনির হোসেনের শাশুরী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাদী অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, মান্নান মিয়াসহ অভিযুক্তরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। ২৪ নভেম্বর শনিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম জানান, লাইফ সাপোর্টে থাকা ওই চার জন আল্লাহ তায়ালা বলতে পারবেন, তারা বাঁচবে না মরবে। আর বেশি কিছু বলার নেই।