নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে একটি মোটরসাইকেল চুরি মামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ইমরুল হাসান ইমরান নামে এক যুবককে রিমান্ডে নিয়ে পুরুষাঙ্গে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকাসহ অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে না:গঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানা যায়, এসআই আমীর হামজা আদালত থেকে ইমরানকে একদিনের রিমান্ডে নেয়। এরপর রাতে থানার ভেতরে ইমরুল হাসান ইমরানের পুরুষাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন। একই সঙ্গে তাকে বেত্রাঘাত করে জখম করা হয়। ক্ষত অবস্থায় রবিবার আদালতে উপস্থিত করে ওই যুবকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করেন পুলিশ। এ সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি ইমরান কান্নাকাটি শুরু করেন। এতে আদালত তার সমস্যার বিষয় জানতে চান।
এ সময় পুলিশি নির্যাতনের ক্ষত স্থান দেখিয়ে ওই যুবক কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। এতে আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ না করে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে এর কারণ জানতে চেয়ে শোকজ করেন।
একইসঙ্গে আগামী ১ নভেম্বর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমীর হামজার হাতে আদালতের এ আদেশ পৌঁছানো হয়েছে বলে আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছেন। আসামিকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে পুরুষাঙ্গে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া এবং তার ‘পশ্চাৎদেশ’এ বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত করার ঘটনায় ওসি আসাদুজ্জামান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমীর হামজাকে এই শোকজে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের এসআই কাওছার আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ১ নভেম্বর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তবে তিনি আসামির নাম জানালেও ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৭৪/৪ ডন চেম্পার এলাকার হারিছ মোল্লার আড়াই লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল চুরি হয়। এতে হারিছ মোল্লা সদর মডেল থানায় ২৭ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।