নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, রাজনীতি করতে এসেছি। ধান্ধা করতে আসি নাই। দিনের বেলায় আওয়ামী লীগ আর রাতে বিএনপি এমন রাজনীতি তো আমরা করতে চাই না। শনিবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর ২নং রেলগেইট এলাকার মিডটাউন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এমপি, মন্ত্রী আমার কাছে বড় ব্যাপার না। আমি মন্ত্রী কিংবা এমপির জন্য রাজনীতি করি না। দুইবার মন্ত্রীত্ব দিতে চেয়েছিল আমি নেই নাই। প্রধানমন্ত্রীর মত এত বড় মানুষের মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। একজন কর্মী থাকতে চাই। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু আওয়ামী লীগ না বরং স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেকে অনেক কথা বলেন, নারায়ণগঞ্জে হকার উচ্ছেদ করলে শামীম ওসমানের গায়ে লাগে কেন? আপনাদের অনেকের পছন্দতো হবেই না। অনেকে অনেক বড় আওয়ামী লীগার সাজেন। মুক্তিযুদ্ধের পর নারায়ণঞ্জে অনেকে মুক্তিযুদ্ধের নাম বেঁচে ফ্যাক্টরির মালিক হয়ে গেছেন, হিন্দু সম্পত্তি দখল করেছেন। আমরা করি নাই। আমরা ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও একবেলা ভাত খেয়েছি, তো একবেলা খাই নাই।
শামীম ওসমান বলেন, শহরের সমাবেশের কারণে অনেকের কষ্ট হয়েছে। কিন্তু তাদের কষ্ট হয় না যারা আওয়ামী লীগ করে, যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। কারণ এ রাজপথেই আওয়ামী লীগের জন্ম। সে কারণেই রাজপথেই আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে। তার পরেও আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই সমাবেশের কারণে কষ্টের জন্য।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলার সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরিন বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সহ সভাপতি ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহসিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সেক্রেটারী শওকত আলী, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সেক্রেটারী মিজানুর রহমান সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সেক্রেটারী আশরাফুল আলম রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।