রবিবার স্বারকলিপি প্রদান করবে হকাররা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: রবিবার জেলা প্রশাসন ও মেয়রের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করবে হকাররা। তবুও যদি তাঁদের জন্যে বিকল্প কোনো ব্যাবস্থা না করা হয় তবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম মুন্সি। শনিবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের এক বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ পুলিশ কর্তৃক আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে এক অনিশ্চিত জীবন যাপন করছি। আমাদের রুটি রুজির উপর আঘাত করা হয়েছে। কোন ধরনের পুনর্বাসন ছাড়া হাজার হাজার হকার উচ্ছেদ করা দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের এই ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। অন্যথায় নারায়ণগঞ্জে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে। আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের দুবেলা ভাত মুখে দেবার ব্যাবস্থা করে না দিলে আমরা গাড়ি ভাংচুর করতেও দ্বিধা করবো না।

সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ আসাদুল ইসলাম আসাদের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, মোঃ দুলাল মিয়া, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি আব্দুল হাই শরীফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, হকার্স সংগ্রাম পরিষদের নেতা আলমগীর হোসেন পলাশ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ মহসিন মিয়া, মোঃ তাছির হোসেন, মোঃ সিরাজ, সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে হকারদের একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমরা ৪ হাজারের অধিক হকার নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ফুটপাথে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবন যাপন করি। আমাদের পরিবার পরিজনসহ জনসংখ্যা হবে প্রায় ১৫ হাজার। দেশে সীমাহীন বেকারত্বের কারনে বেঁচে থাকার তাগিদে এই পথ বেছে নিতে হয়েছে। জনসাধারনের চলাচলে যাতে বিঘœ না ঘটে সে কথা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৫টার পর এবং সরকারী ছুটির দিনে আমাদের দোকান বসাই। আমাদের কারনে শহরের রাস্তায় কোন যানজট হয় না।

এই ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে আমরা আমাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করি। দরিদ্র ক্রেতা সাধারণ আমাদের কাছ থেকে অল্প দামে মালামাল ক্রয় করে সুবিধা পায়। ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আমরা দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটাই। গত কয়েকদিন যাবৎ পুলিশ কর্তৃক আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে এক অনিশ্চিত জীবন যাপন করছি। আমাদের রুটি রুজির উপর আঘাত করা হয়েছে। কোন ধরনের পুনর্বাসন ছাড়া হাজার হাজার হকার উচ্ছেদ করা দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত। প্রশাসনের এই ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা উচিত। অন্যথায় নারায়ণগঞ্জে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী দেয়া হবে। রবিবার সকাল ৯.৩০টায় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে সিটি কর্পোরেশন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে মেয়র বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। উক্ত কর্মসূচীতে সকল হকারভাইদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

add-content

আরও খবর

পঠিত