নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টর ) : রক্ত টক বক করছে , মশা মারতে কামান দরকার নাই মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা সরকারী দল এটা মনে রাখতে হবে। আমরা আমাদের বাবা মায়ের পর সবচেয়ে বড় মানুষ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। তিনি নাই তাই এখন আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়ন সুশাসনের জন্য কাজ করছেন। আমাদের অনেকের বয়স তরুণ-যুবক। বর্তমান তরুন-যুবকদের রক্ত টক বক করছে। তারা দুইদিন ধরেই আমাদের খোকন সাহা ও বাদলকে নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। আমরা সভা ডাকলে সমাবেশ হয়। আর সমাবেশ ডাকলে লাখো মানুষের জমায়েত হয়। সুতরাং মশা মারতে কামান দাগানোর দরকার নাই।
৬ এপ্রিল শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে জরুরী কর্মী সভায় শামীম ওসমান প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইসদাইরে অবস্থিত বাংলা ভবন কমিউমিটি সেন্টারে -নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী পরিবারকে ধংসের চক্রান্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও-ব্যানারে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা শুধু ধৈর্য ধরেন। আপনাদের কোন টেনশন করার দরকার নাই। তবে একটা জিনিস বলে রাখি, আমাদের মধ্যে যদি কেউ খারাপ হয় তাহলে তাকে ছাড় দেবো না। কিন্তু আমাদের কাউকে যদি ইচ্ছা করে ঝামেলায় ফালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে সব নাচাইয়া দেবো চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে। এক সেকেন্ডও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, জামাতের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ পাওয়া গেল। তদন্ত হলো, জামাতের আমির বললো। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট হলো। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানকে যদি চেক দিতে হয়, আওয়ামী লীগকে চেক দিতে হয় অমুককে আওয়ামী লীগে রাখতে হবে। এই অডিও আপনারা সবাই শুনেছেন। কেন? নারায়নগঞ্জে বিএনপি জামাতের ক্ষমতা নাই যে আওয়ামী লীগকে টেক্কা দেবে এবং একটি নামও বললো, টেককেয়ার করার জন্য।
তিনি আরো বলেন, যা দেখছেন বিষয়টা তা না। পর্দার আড়ালে কিছু খেলা থাকে। সেই খেলায় কেউ কেউ ভুলে পা দেয়। হয়তো নারায়ণগঞ্জে এসেছেন বিদেশী মেহমান, হয়তো কারো খেলায় পা দিয়ে দিয়েছেন। কখন থেকে খেলা শুরু হলো। আমি কারো নাম বলবো না। এগুলো আমি গোনায় ধরি না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ-সভাপতি চন্দন শীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, ১৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সাফায়েত আলম সানি, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক, সাধারন সম্পাদক এম এ মান্নান প্রমুখ।