নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট প্রার্থী সংসদ সদস্য এ.কে.এম সেলিম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে দলমত নির্বিশেষে একত্রে কাজ করতে হবে। শত্রুকে ছোট ভাবলে চলবে না। ভবিষ্যত বদলে যাবে। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি মাত্র একটা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। সেই বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছিল। আজকে সেই বক্তব্য বিশ্ব স্বীকৃত। যে মানুষটি বুকে পাথর চেপে ১০ বছরে দেশকে এতোটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি ভবিষ্যতে কি না করতে পারবেন। আমি সেলিম ওসমান এমপি না হলেও কিচ্ছু যায় আসে না। শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ডের মিনাবাজার এলাকায় মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বাস ঘাতক বেঈমান হিসেবে জন্ম হয়ে ছিলো মীরজাফর ও মোস্তাকের। আর এখন হচ্ছে আর ড. কামাল হোসেন। যেই মানুষটা দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। নৌকা মার্কায় এমপি হয়েছিলেন সেই লোকটা কিভাবে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারে। বিএনপির যারা পুলিশের নির্যাতন, মামলার আসামী হয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে কেন তাকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হলো এটা আমার প্রশ্ন। এই ধানের শীষ বেগম খালেদা জিয়ার ধানের শীষ না। এটা হচ্ছে চিটা ধান। আমরাওতো নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি কিন্তু আমরা তো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছেড়ে যাই নাই।
তিনি আরো বলেন, খোকন সাহারা আমার সন্তান তুল্য। আমার প্রথম নির্বাচনটা ওরাই করেছে। তখন আমি নির্বাচন কি বুঝতাম না। অতীতে কাজ করতে গিয়ে হয়তো আমার ভুল হয়েছে তাই প্রতি এলাকায় গিয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। যা হারিয়েছি তা ফিরে পেতে হবে। বর্তমান সমাজে নারীদের ব্যবসা বাণিজ্য করার বিষয়ে লজ্জা রাখলে চলবেনা। নারী বর্তমানে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারী ভাবে বাবার পাশাপাশি এখন মায়ের নামও লিপিবদ্ধ হচ্ছে। সরকার যদি নারীদের সম্মান দিতে পারে তাহলে আমরা কেন তাদের পিছিয়ে রাখবো। আপনারা নিজেদের সন্তানদের সাথে বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক রাখবেন। তাহলে দেখবেন আপনার সন্তান মাদকাসক্ত হবেনা।
তিনি আরো বলেন, আমি কাউকে কটাক্ষ্য করছিনা, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় জেলা পরিষদ চলে, সিটি কর্পোরেশন চলে। আপনাদের আয় আছে। তাহলে আমরা কেন মশার কামর খাবো। ফুটপাত দিয়ে কেন হাটতে পারবোনা। র্যালী বাগানের সুইপার সম্প্রদায়ের এতোগুলো পরিবার কেন কষ্ট পাবে। কেন তারা নাগরিক সুযোগ বঞ্চিত হবে। আমি বহুবার চেষ্টা করেছি আলোচনায় বসার। কিন্তু বসেন নাই। আগামীতে আমরা নারায়ণগঞ্জ উন্নয়ন কমিটি বানিয়ে একসাথে বসে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন করবো। আপনাদের মুখ খুলতে হবে। নয়তো আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আর এগিয়ে আসবে না। আমি আর কোন গন্ডির মাঝে থাকতে চাইনা। আমি যেই এলাকায় যাবো সেই এলাকার মানুষের সাথেই কাজ করবো।
আওয়ামীলীগ নেতা পুলক ঘোষাল এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি এম সোলায়মান, ১৫নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি দুলাল চন্দ্র রায়।
আরো উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিন আহম্মেদ, বিকেএমইএ প্রথম সহ সভাপতি মনসুর আহম্মেদ, সহ-সভাপতি(অর্থ) হুমায়ন কবির খান শিল্পী, পরিচালক মঞ্জুরুল রাশেদ সারোয়ার, জিএম ফারুক, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ড. শিরীন বেগম, কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।