নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( দ্বীন ইসলাম ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। তারা শিশু শেখ রাসেলকেও ছাড় দেয়নি। তারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করতে চেয়েছিলো, কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।
২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলার মদনপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ঘাতক, দালাল ও স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের মানুষকে সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও ১৫ই আগস্টের ইতিহাস সকল শিক্ষার্থীকে জানতে হবে। প্রয়োজনে কলেজের লাইব্রেরীতে প্রতি সপ্তাহে কিছু সময় নির্দিষ্ট করে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু ও দেশের স্বাধীনতার উপর রচিত বইগুলো পড়তে সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে আমরা কি হারিয়েছি তখন তা অনুধাবন করতে পারবো। ৯ মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এটা কেউ ভাবেনি। মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সকলে সঠিক ইতিহাস জানবো এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দেশের জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে গভর্ণিং বডির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আরজু রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ এবং বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী।
এসময় হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিজামউদ্দিন চৌধুরীর সার্বিক আয়োজনে ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সামছুল হকের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, অত্র কলেজের গভর্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য নাজিম উদ্দিন ও সুরুজ মিয়া, হিতৌষী সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল হাই ভূঁইয়া, দাতা সদস্য রেজাউক হক ভূঁইয়া, অত্র কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন ও নকুল চন্দ্র মিত্র, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ রউফ, প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শুক্কুর আলী, ধর্ম সম্পাদক গহন আলী দেওয়ান, সদস্য মোতালিব মিয়া, মোজাম্মেল হক মুকুল, জলিল মিয়া, মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আবু ইউসুফ ভূঁইয়া, ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক সদস্য মুসলিম প্রধান, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল, মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমান উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ, শাহালম, যুবলীগ নেতা মোস্তফা ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লেহাজ উদ্দিন, তাঁতী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ ও সকল শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।