যাত্রীদের জীবন মৃত্যুর হ্যান্ডেল ধরেছে কিশোর !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : বয়স মাত্র ১৭ বছর। গাড়ির স্টিয়ারিং হ্যান্ডেল ধরে রেখেছে এমনই এক কিশোর। পায়ের নিচে থাকা ব্রেকটি র্স্পশ করা যার জন্য অনেকটাই কষ্টসাধ্যের। তারপরেও অলিখিতভাবে সে পেশাদার চালক। প্রতিদিনই হাজারো যাত্রী সাধারণকে সে গাড়িতে বহন করে আসা যাওয়া করছে মহাসড়কের পথে। এটাই শহরের চাষাড়াস্থ খাজা সুপার মার্কেট হইতে চিটাংগ রোড এবং রাইফেল ক্লাব হইতে লিংক রোড, সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলমান লেগুনা পরিবহন চালকদের দৈনন্দিন অবস্থা।

শুধু তাই নয়, বিআরটিএ অনুমোদন বিহীনও অসংখ্য যানবাহন অবাধে চলছে এই রুটে। বিশেষ করে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সার ছড়াছড়ি। একটা সময় শহরে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও এখন প্রতিটি মোড়ে তাদের স্ট্যান্ড! ব্যস্ততম চাষাঢ়া মোড়েই তাদের লম্বা সিরিয়াল দেখা যায়। এদের সামলাতে গিয়ে বেশ হয়রানীর শিকার হন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশরাও।

গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে গিয়েও চোখে পড়ল যাত্রী বোঝাই ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সায় চালকের সীটে বসে গাড়ি চালাচ্ছে প্রায় ১৪ বছরের এক কিশোর। এসব যানবাহনের নাম্বার প্লেট নিয়ে বলাই বাহুল্য। আর অপ্রাপ্ত বয়সের সেই কিশোর চালকদেরর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া তো বহুদূর। জানা নেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কিত নুন্যতম আইন। তাছাড়া ডান-বামে গেলে ইন্ডিকেটর লাইট ব্যবহারেও নেই ধারণা! এতে যেকোন সময়ই ঘটে যেতে পারে মর্মান্তিক কোন সড়ক দূর্ঘটনা। বিভিন্ন সময় ঘটছেও। অথচ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হলেও যাত্রীদের জীবন মৃত্যুর হ্যান্ডেল ধরেছে কিশোর চালকরাই!

এ ব্যাপারে একজন সিনিয়র চালককে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, তারা তো সব রুটে চালায় না। মাঝে মধ্যে গাড়ি পার্কিং করার জন্য স্টিয়ারিংয়ে বসাই। তারা সারাদিন গাড়ির হেল্পারি করে। পাশাপাশি গাড়ি চালানো শিখতেও অনেকে কাজ করে। তাই হয়তো কখনো কখনো বসতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইনচার্জ আব্দুল করিম শেখ বলেন, আইন মেনে চলতে হবে। যারা আইন ভঙ্গ করছে আমরা নিয়ম অনুযায়ী মামলা দিচ্ছি। তারপরেও যে সকল মালিক বা সিনিয়র চালকরা তাদেরকে বসাচ্ছে তাদের সচেতন হতে হবে। তা না হলে সেখানেও আমাদের নজরে আসলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

add-content

আরও খবর

পঠিত