নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর কর্মকান্ডের সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি নিজেই। আর যুক্তিযুক্ত সামালোচনা হলে অবশ্যই সেই কাজ থেকে সরে আসবেন বলেও অঙ্গিকার করেন তিনি। তবে ভালো ও সত্য কাজে তার পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান আইভী। ৫ মার্চ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া এলাকায় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইভী বলেন, কোরআনে আছে সত্য ও ভালোর পাশে থাকার জন্য তবে কেন আপনারা ভয় পান। আমার কাজের পাশে এসে দাঁড়ান। আমার সমালোচনা করেন। আমি কথা দিচ্ছি আমার কোন কাজে আপনাদের যৌক্তিক সমালোচনা হলে আমি সেই কাজ করবো না।আমি জানি না আপনারা কেন ভয় পান। কোন অদৃশ্য শক্তির ভয়ে ভীত না হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাজের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। তবে অন্যায় অবিচার হলে আমার মুখ খুলবেই। সবার হয়ে আমি কথা বলবো। কারো ভয়ে আমি থেমে থাকবো না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এসময় মেয়র আইভী স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীকে নিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে আইভী বলেন, বড় সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন যা বাকি আছে সব ছোট কাজ। গত ৯ জানুয়ারি তৃতীয়বারে মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বগ্রহণ করার পর মাত্র এক মাস হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা অনেক কাজের ট্রেন্ডার ডাকা হয়েছে । তিনি বলেন কাউন্সিলর খোরশেদ ও এলাকাবাসীর দাবী পূরনে এ মেয়াদেই ১৩ নং ওয়ার্ডে মা ও শিশু হাসপাতাল, কমিঊনিটি সেন্টার, লাইব্রেরী ও একাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। আমি শুধু আপনাদের মেয়র না। ২৭টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মেয়র আমি। আমাকে ২৭টি ওয়ার্ডের সমস্যা ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে হয়। তবে গত দুই মেয়াদেও ১৩নং ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি কাজ হয়েছে। যা আপনাদের জন্য আরো করা হবে। এর জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, আপনি নিজেও একটি দল করেন তবে এলাকার স্বার্থে যেন কোন দলমত না হয়। এছাড়াও এলাকাবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও চাহিদার কথা জানালে আইভী সমস্যা সমাধান ও নতুন উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদে তার বক্তব্যে বলেন একটি আধুনিক বাস যোগ্য ওয়ার্ডে পরিনত করতে আমরা সব কাজ করবো, তবে জনগনকেও আরো সচেতন হতে হবে রাস্ত-ঘাট-ড্রেন ব্যাবহারে। তিনি পরিস্কার পরিছন্নতা ও বর্জ্য অপসারনে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চান।
১৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহবুদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লঞ্চ পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, মহিউদ্দিন আহমেদ, শাহবুদ্দিন আহমেদ, মোঃওমর আলী, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, লিয়াকত হোসেন, কালিরবাজার বনিক সমিতির সভাপতি ফারুক মহসিন, সহ সভাপতি মোঃসালাউদ্দিন, মোঃ মোহন, মোঃলতিফ, কৃষ্ণ সাহা, হারুন জামাল, হারুনুর রশীদ, মাওলা শাহীন, হানিফ সরদার, মোঃখোকন, মালু সরদার, শেখ মোহাম্মদ আমান, বরুন চ্যাটার্জী, সামসুল হক খন্দকার, মো. শিপলু হক, মো. ওানা হক, নির্ঝর হক, রনি, সালাউদ্দিন, আবুল হোসেন মোল্লা, মো. ফারুখ হোসেন, শহিদুল ইসলাম , আব্দুর রাজ্জাক, মো. ফারুখ, আনোয়ার হোসেন আনু, সরকার মুজিব, রানা মুজিব, রিটন দে, শওকত খন্দকার, সাইফুল প্রধান, আক্তার উদ্দিন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গোলাম সারোয়ার বাদল, রফিকুল ইসলাম সানু ও মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।