নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( চাঁদপুর প্রতিনিধি ) : চাঁদপুর মতলব উত্তরের মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বেশ দ্রুতগতিতে। কার্পেটিং দ্বারা কাজের সম্প্রসারণ চলছে আঞ্চলিক এই মহাসড়কে। আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নতিকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ ওই কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
মতলব ফেরিঘাট-ধনাগোদা তালতলী পর্যন্ত সড়কের ২২ কিলোমিটার, আমিরাবাদ বাজার-নতুনবাজার পর্যন্ত ৩.৫ কিলোমিটার ও এখলাছপুর বকুলতলা-মোহনপুর পর্যন্ত .৫ কিলোমিটার মোট ২৬ কিলোমিটার সড়কে কাজ বাস্তবায়ন এগিয়ে চলছে।
জানা গেছে, সরকার একনেকে অনুমোদন দেন এবং প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। এরই ভিত্তিতে আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ২৬কি.মিটার জুড়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেকনো হাসান এ- রানা বিল্ডার্স (প্রা.) লি: সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
সড়কের খানা-খন্দক অংশে টেকসই নির্মাণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে সওজ বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ স্থানে ম্যাকাডমসহ পিচ ঢালাই করছেন। যেসব স্থানে পিচ ও বিটুমিন নি:সরিত হয়েছে সেখানে দেওয়া হচ্ছে পিচ ঢালাই।
তিন ক্যাটাগরির উন্নত মানের পাথরের সংমিশ্রনে সড়ক কার্পেটিং কাজ চালানো হচ্ছে। টেকসই ও কনফেকশনের জন্য আনা হয়েছে অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সড়ক সংস্কারের জন্য ইকুইপমেন্ট ও লজিষ্টিক সাপোর্ট জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে এ সড়ক পুন:সংস্কার বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলায় মতলব উত্তরসহ আশপাশের জেলায় যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হতে চলেছে। সড়কটি চাঁদপুর জেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পরিনত হয়েছে। এ সড়ক হওয়ায় জেলা শহরের সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈর্ঘ্যতা কমেছে ব্যাপক।
সড়ক সংস্কারের জন্য ব্যবহৃত পাথরগুলো মান নিয়ন্ত্রণে বুয়েটের পরীক্ষাগারে এসব পাথরের পরীক্ষা করা হয়েছে। পরে বুয়েট স্বীকৃতি দেওয়ার পর সড়কে দেওয়া হচ্ছে এসব পাথর। কাজের অধিকতর অগ্র্রগতি ও মান বজায় রেখে কাজ বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয়দের সহযোগীতা পাচ্ছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আবুল কালাম মিয়াজী জানিয়েছেন, কাজের মান নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সুচারুরূপে। সওজ বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ তদারকি করছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন জানান, গুনগতমান ঠিক রেখে কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি যথাসময়েই সড়কের ২৬ কিলোমিটারে কাজ শেষ করা যাবে।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক সংস্কার কাজ ছিল সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি। এলাকাবাসীর সেই দাবি বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সংস্কার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। প্রতিদিন নানা বিড়ম্বনায় পথ চলতে হতো খানাখন্দকে ভরা এই সড়কে। কোথাও না কোথাও ঘটতো ছোটখাট দুর্ঘটনা।
এসব দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে সমাধান ছিল সড়কটির সংস্কার। বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে এসেছেন। ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরো সড়কটির ৫দশমিক ৫মিটার (১৮ফুট) প্রস্থজুড়ে সংস্কার ও ২ইঞ্চি পুরুত্বের কার্পেটিং করা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। সড়ক সংস্কার কাজটি যথাযথ এবং টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।