নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় ২জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও বিপাকে আহতের স্বজনরা। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেলেও প্রতিপক্ষের হুমকীতে নিরাপত্তাহীণতায় ভোগছে ভুক্তভোগী ও স্বজনরা। স্থানীয় একটি মহলের ইন্ধনে বিষয়টি ধামাচাপা দিতেও চলছে নানা প্রচেষ্টা।
২৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ড্রেসিং এবং ব্যাথা বেড়ে যাওয়ায় পূণরায় চিকিৎসাসেবা নিতে এসে সাংবাদিকদের দেখে এমন অভিযোগ জানান সদর থানাধীন তেলখিরা এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিষ্ঠিত আলু ব্যবসায়ী আহত জাকির ও আবু বক্কর। দ্রুত অভিযোগ প্রত্যাহার করতেও দেয়া হচ্ছে হুমকী। তাছাড়া ৫দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তরা ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
জানা গেছে, মামলার বিবাদীরা এলাকায় মাদকের সাথে জড়িত থাকায় বিভিন্নসময়ই নিষেধ করতো আহত জাকির ও আবু বক্কর। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মহিউদ্দিন (৪৫), সোহেল (৪০), সমুন (৩৮), আল আমিন, সাদ্দাম হোসেন সহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে গত ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহ আলী বাজারে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রের এলাপাথারী আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয় জাকির ও আবু বক্কর। এছাড়াও ওইদিনই আলু ব্যবসায়ী জাকির ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরার পথে তাদের কাছে থাকা ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় উল্লেখিত বিবাদীরা।
এ ব্যপারে আলীরটেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি আমি শুনেছি। উভয়পক্ষকেই শান্তিু শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেছি। তারা যদি সামাজিকভাবে বসতে চায় আমি সে ব্যপারেও সহযোগীতা করবো বলে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সার্টিফিকেট পেলে পরবর্তি পদক্ষেপ নিবো। তবে ঘটনাটি কেউ ধামাচাপা দিতে চাইলেও আমার জানা নেই। আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করবো।