মামলার চাপেই কামাল আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় : অভিযোগ পরিবারের

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিক কামালের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী মৌমিতার পরিবারকেই দায়ী করছে নিহতের পরিবার। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দর থানায় হোসিয়ারী শ্রমিক কামালের পিতা নিরিহ নাসির মিয়া অশ্রুসজল কন্ঠে সাংবাদিকদের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, আমি একজন গামের্ন্টস শ্রমিক। আয়রন ম্যানের কাজ করে সংসার চালাই। গত ৪বছর পূর্বে আমার ছেলে কামাল হোসেনকে বাড়ই পারা এলাকায় খোরশেদ মিয়ার মেয়ে মৌমিতার সঙ্গে বিবাহ দেই। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বিয়ের পর বেশির ভাগ সময়ই নানা বাহানা দিয়ে আমার পুত্রবধু মৌমিতা তার পিত্রালয়ে চলে যায়। বহুবার আমার ছেলে ও আমি তাকে তার পিত্রালয় থেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসি। তাকে প্রায় সময়ই মোবাইলে কথা বলতে দেখি। কার সাথে কথা বল প্রশ্ন করলে উল্টো ঝগড়া করত। শুনেছি তার খালাত ভাই সাবদীতে থাকে ওর সাথে নাকি প্রায়ই কথা হত। আমার ছেলে কামাল ও আমার স্ত্রীর বিরোদ্ধে যৌতুক মামলা করে আমার ছেলেকে ১মাস কারাভোগ খটিয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী আমার ছেলের কোর্টে হাজিরা ছিল। আমার ছেলে কামাল সারাক্ষণ মনভার করে টেনশনে থাকত। আমি ওদের সাথে কথা বলতে গেলে ওরা সম্পত্তী লিখে দিলে আমার ছেলের সঙ্গে সংসার করবে বলে শর্ত দিতো। শুধু ভয় নিয়ে থাকত কামাল। আমার ছেলে আমাকে বলত বাবা আমাকে কি আবার ওরা জেল খাটাবে। পরে শুক্রবার মামলার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে। আমার ছেলে আতœহত্যার জন্য ওরাই দায়ী এসব বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, হোসিয়ারী শ্রমিক কামালের লাশ শুক্রবার রাতে পুরান বন্দর প্রধাণ বাড়ী এলাকায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ কামাল হোসেনের সঙ্গে তার স্ত্রী মৌমিতার মামলা চলছিল। ৪ ফেব্রুয়ারী তার কোর্টে হাজির হওয়ার তারিখ ছিল কিন্তু এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে আতœহত্যার সংবাদ মিলে কামাল হোসেনের। তবে কামাল হোসেন আতœহত্যার ঘটনা রহস্যেঘেরা তাই তদন্ত করলে পুরো ঘটনা জানা যাবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত