নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত মাদক ডিলার রাহাতকে মদ্যপান অবস্থায় গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার থানা পুলিশ। জানা গেছে, শনিবার রাতে মদ্যপান করে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় একটি প্রাইভেট গাড়িতে পুলিশ তল্লাশী করলে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে উদ্ধার করে। এসময় তার সাথে থাকা চালককে ছেড়ে দিলেও রাহাতকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। বিশেষ সূত্রে আরও জানা যায়, র্পুবের ন্যায় কক্সবাজার থানা পুলিশের সাথেও রফাদফা করতে রাহাত ও তার সহযোগীরা রাতভর চালায় উৎকোচ বিনিময়ের ব্যাপক তোরজোর।
এর আগে ডিবি পুলিশ কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীণ আমলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদীয়া হাউজিং এর গ্রেজের একটি পরিত্যাক্ত আলমীরা থেকে ৮ কেস বিয়ার ও ৭ বোতল বিদেশী মদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার করলে ও মাদকের মূল মালিক রাহাত রহস্য জনকভাবে আটক করেনি । অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদক বিক্রেতা রাহাত আবারও সংবাদ শিরোনাম হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের কথা ও দৈনিক ইয়াদ পত্রিকায় গত ২১ জুন বুধবার প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়েছে প্রশাসনের নীরব ভূমিকার সুযোগ নিয়ে চিহিৃত মাদক ব্যাবসায়ী রাহাতের মাদক ব্যাবসা দিন দিন বেড়েই চলছে। সংবাদটি প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় চলে আসে এই মাদক ডিলার রাহাত। কেন বা কি কারণে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মাদক স¤্রাট রাহাত কে গ্রেফতার করছে না ? সচেতন মহলে এই নিয়ে উঠে আসে নানা প্রশ্ন।
এছাড়াও আরও অভিযোগ রয়েছে গত ১০ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীণ খানপুর এলাকা থেকে রাহাত ও তার সহযোগীকে বিপুল পরিমান বিয়ার সহ আটক করে সদর মডেল থানার পুলিশ। কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার উৎকোচের বিনিময় চিহ্নিত ব্যবসায়ী রাহাতকে ছেড়ে দিয়ে মামলা প্রদান করা হয় ক্লাবের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, বিগত এক বছর পূর্বে মাসদাইর ঈদগায় এলাকার হাজ্বী আব্দুল হামিদ সড়র (এমপি গলি) প্রথম বাড়ীর নিচ তলা থেকে প্রায় ১৭শ পিছ বিয়ার ও ৯শ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ এক জনকে আটক করে করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল। আটক কৃত ব্যাক্তির জবান বন্দিতে স্পষ্ট উলেখ করা হয় উদ্ধার কৃত মাদকের প্রকৃত মালিক ছিলো রাহাত। এ বিষয় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদকের মামলা দায়ের করা হলোও পরবর্তীতে এই মামলার কোন সমাধান আসেনি।