নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( চাঁদপুর সংবাদ দাতা ) : মতলব উত্তর উপজেলার বড়হলদিয়া গ্রামের বাঁশজার থেকে বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধু হেলেনা বেগম (৩০) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বড়হলদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের বাড়ির ২শ গজ দূরে নির্জন বাঁশজারে পথচারীরা ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা যায়, এখলাছপুর গ্রামের কামাল হোসেন প্রধান দুলালের মেয়ে নিহত বাকপ্রতিবন্ধী হেলেনা বেগম (৩০)। ৮ বছর পূর্বে কলাকান্দা ইউনিয়নের দশানী গ্রামের নূর মোহাম্মদ এর ছেলে রাসেল এর সাথে বিবাহ হয়। তাদের ৬ বছরের আরিচা মরিয়ম নামে এ কন্যা সন্তান রয়েছে। হেলেনা বেগম রাসেলের দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর পারিবারিক ভাবে হেলেনাকে বিবাহ করে। হেলেনাকে বিবাহের পর ঢাকায় রাসেল তৃতীয় বিবাহ করে। এরপরই তাদের সংসারে অশান্তি নেমে আসে। এরই জেরে বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ৬ বছরের আরিচা মরিয়ম নামে এ কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পিতা রাসেল। ওই রাতের পর থেকে বাকপ্রতিবন্ধী হেলেনা বেগম নিখোঁজ ছিল। কন্যাকে হত্যাকে মা হেলেনা বেগম পালিয়েছে বলে এলাকায় রটনা রটায়। শিশু বাচ্চা আরিচা মরিয়ম নিহতের কারণ গোপন করে তড়িৎগতিতে দাফন করা হয়। হেলেনাকে একাধিকবার স্বামী রাসেল হত্যা করার চেষ্টা করে শিশু আরিচা মরিয়ম দেখে ফেলায় হত্যা করতে ব্যর্থ হয়। তাই প্রথমে পথের কাঁটা শিশু আরিচা মরিয়মকে হত্যা করা হয়।
২দিন পর নিখোঁজ হেলেনা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মতলব উত্তর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স। ঘটনার পর থেকে রাসেল আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, নিহত হেলেনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তে বের আসবে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।