নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার তথা শেখ হাসিনা। এসবের মধ্যে অন্যতম মেগা প্রকল্প রূপগঞ্জের ভুলতা ফ্লাইওভার। ভুলতা ফ্লাইওভার রূপগঞ্জের উন্নয়নের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে এশিয়ান হাইওয়ের ভুলতা ফ্লাইওভারের গাজীপুর-মদনপুর সড়কের এই একটি লেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম থেকে অংশ গ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী গাজী বলেন, দেশের মানুষের যাত্রাপথ সহজ করতে সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। রূপগঞ্জের ভুলতার এই ফ্লাইওভারটিও এর একটি। সারা রূপগঞ্জবাসী আজ আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন, ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ায় রূপগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্যও বাড়বে। সময় কমবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের।
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহান ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কলামিষ্ট লায়ন মীর আব্দুল আলীম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আল আমিন দুলাল, রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসানসহ আরো অনেকে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পরপরই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা ফ্লাইওভার গাড়ি চলাচলের জন্য আংশিক খুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে এশিয়ান হাইওয়ের ভুলতা ফ্লাইওভারের গাজীপুর-মদনপুর সড়কের একটি লেন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কলামিষ্ট লায়ন মীর আব্দুল আলীম বলেন, এটি রূপগঞ্জবাসীর প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। বহু প্রতীক্ষার পর রূপগঞ্জবাসীকে যানজট থেকে রেহাই দিতে এই ফ্লাইওভারটি খুলে দেয়া হলো।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ভুলতা ফ্লাইওভার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ওই এলাকার যানজট অনেকাংশে কমবে এবং কমে যাবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও।
বর্তমান সরকার ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ লেন বিশিষ্ট ভুলতা ফ্লাইওভারটি নির্মাণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ফ্লাইওভারটি নির্মাণের কাজ পেয়েছিল চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ২৪ ব্যুরো গ্রুপ কোং, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও এএম বিল্ডার্স।
চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ২৩৮ কিলোমিটার। মূল ফ্লাইওভারের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা, সড়ক নির্মাণে ব্যয় ১১২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ধরা হয় সাড়ে সাত কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পটির মেয়াদ আরো ১ বছর বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে গত বছরের ৮ আগস্ট ফ্লাইওভারটি নির্মাণে আরো ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬ টাকা বাড়ায় মন্ত্রীসভা কমিটি।