নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : ভাষা সৈনিক একেএম সামসুজ্জোহা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গঠনের সময় তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য । তাঁর ৩টি সন্তানই হয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য। বড় ছেলে প্রয়াত একেএম নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও একজন বীর মুক্তিযােদ্ধা। নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর ওই আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন একেএম সেলিম ওসমান। অপরদিকে সামসুজ্জোহার কনিষ্ঠ পুত্র একে এম শামীম ওসমানও দুইবার হয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য। আর এই মহান ভাষা সৈনিক একেএম সামসুজ্জোহার সম্মানেই চাষাড়ায় একটি সড়কের নামকরণ করা হয় ভাষা সৈনিক একেএম সামসুজ্জোহা সড়ক।
দীর্ঘদিন থেকে সড়কের নাম ফলকটি পড়ে আছে অবহেলায়, অযত্নে। অথচ প্রতিদিনই ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে এই পরিবারের সদস্য সহ আস্থাভাজনরা। কিন্তু শহরের কেন্দ্রবিন্দু চাষাড়ায় এই নামফলকটি বেহাল দশায় থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। সড়কের নামকরণের ফলকটি অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখে অনেকেই বলছেন এই পরিবারের অনুসারীরা মুখে মুখেই ভালবাসেন। তা না হলে এমন একজন ভাষা আন্দোলনের সৈনিক ও ঐতিহাসিক পরিবারের নামফলক অযত্নে কি করে থাকতে পারে।
তবে র্দীঘদিন অযত্নে থাকলেও অবশেষে পুন:সংস্কারের মাধ্যমে দন্ডায়মান হলো ভাষা সৈনিক একেএম সামসুজ্জোহা সড়ক নামফলকটি। আর তা বাস্তবায়ন করলো ভাষা সৈনিক একেএম সামসুজ্জোহার নাতি ও প্রয়াত সাংসদ একেএম নাসিম ওসমানের একমাত্র তনয় আলহাজ্ব আজমেরী ওসমান। গত এক সপ্তাহ আগে এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এই নামফলকটি তাঁর নজরে পড়ে। এবং এর বেহাল অবস্থা দেখে খুবই ব্যাথিত হন। আর সেদিন থেকেই এই নামফলকটি পুন:সংস্কারের জন্য বেরীপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। এবং তাঁরই র্নিদেশনায় এই নামফলকটি মজবুত করে পাইলিং দিয়ে পুন:সংস্কার করতে পাথর, রড সহ ইত্যাদী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবস্থা করে ও নেমপ্লেট তৈরী করতে বহুদিন সময় লেগে যায় বলে জানায় নাসিম ওসমান স্মৃতি দুস্থ্য ও কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম লিমন।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে একটি অজ্ঞাতনামা ট্রাক রাতের বেলা সামসুজ্জোহা সড়কের নাম ফলকসহ দুটি স্কুলের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঠিক করেছেন। তবে কেউ উদ্যোগ না নেয়ায় অবহেলা আর অযত্নেই পড়ে ছিলো ভাষা সৈনিক সামসুজ্জোহা সড়কের নাম ফলক। যা বাঙ্গালী হিসেবে প্রত্যেকটি বিবেকবান মানুষের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।