নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি আর নেই। দিল্লির আর্মি হাসপাতাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল প্রায় ৮৫ বছর।
আজ ৩১ আগস্ট সোমবার বিকাল পৌনে ৬টায় প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিৎ মুখার্জি এক টুইট বার্তায় বাবার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে, আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারাল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সর্বোত্তম চেষ্টা ও পুরো ভারতের মানুষের প্রার্থনা, দোয়া সত্ত্বেও আমার বাবা কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে গত ৯ আগস্ট রাতে বাথরুমে পড়ে যান ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ৷ পরের দিন ১০ আগস্ট সকালে ডান হাত অবশ হতে থাকায় দ্রুত প্রণব মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন ৷ অপারেশনের আগে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৷ প্রণব মুখার্জীর অস্ত্রোপচার হয়৷ মাথায় জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়৷ রাতেই তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়৷ ১০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তির আগেও প্রণব মুখার্জী নিজেই টুইট করে জানান, তাঁর করোনা পজিটিভ৷
গত ১০ আগস্ট রাতে চিকিত্সায় সাড়া দিলেও ১১ আগস্ট রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ ওইদিন রাতে হাসপাতাল বুলেটিনে জানায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটনক ৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল৷ তা বের করতে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়৷ তার পর থেকেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ৷
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা উত্তর সর্বভারতীয় রাজনীতির সফলতম বাঙালি প্রণব মুখার্জি ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। অর্থ, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, রাজস্ব ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দেশের প্রতি অবদানের জন্য তাকে ভারতের সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন ও পদ্মবিভূষণ এবং শ্রেষ্ঠ সাংসদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালে, যুক্তরাজ্যের ইউরোমানি পত্রিকার একটি সমীক্ষায় তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচ অর্থমন্ত্রীর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হন।