নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে বহুল আলোচিত আল-আমিন জামে মসজিদ কমিটির নির্বাচনে মোজাম্মেল হক সভাপতি ও মো. শাহজাহান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী মডেল একাডেমিতে সকাল ৮টা হতে একটানা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলে এ নির্বাচন।
এ নির্বাচনে সর্বমোট ২১৯ জন ভোটাদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১শ ৮৪ জন। সম্পুর্ণ ব্যালট বাতিল হয় ৬টি। ৫ পদের বিপরীতে ২টি প্যানেলে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সহ-সভাপতি পদে দুটি প্যানেলের প্রার্থী হাজী আশ্রাফ উদ্দিন (২নং প্রতীক) ও হাজী জিয়াউদ্দিন (৭নং প্রতীক) সমান ৮৮টি ভোট পেলে দুজনকেই যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী মোজাম্মেল-লুৎফর প্যানেল হতে সভাপতি পদে ১নং প্রতিকে মোজাম্মেল হক ১০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি কাউয়ুম-শাহজাহান প্যানেল হতে ৬ নং প্রতীকে আব্দুল কাউয়ুম পেয়েছেন ৭৮টি ভোট । সাধারণ সম্পাদক পদে কাউয়ুম-শাহজাহান প্যানেল হতে ৮নং প্রতীকে ৮৮ ভোট পেয়ে শাহজাহান সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ৩নং প্রতীকে লুৎফর রহমান পেয়েছেন ৮৫ ভোট।
এছাড়াও সহ-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে কাউয়ুম-শাহজাহান প্যানেলের ২ প্রার্থী যথাক্রমে কাজী মো. আলী (৯নং প্রতীক) ও আমজাদ হোসেন (১০নং প্রতিক) কে সুস্পষ্ট ব্যাবধানে হারিয়ে জয় পায় মোজাম্মেল-লূৎফর প্যানেলের ৪ নং প্রতীকধারী মাহবুবুর রহমান ও ৫নং প্রতীকধারী জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
একনজরে তাদের প্রাপ্তভোট সংখ্যা : সভাপতি পদে মোজ্জামেল ১০১ ও আব্দুল কাউয়ুম ৭৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে শাহজাহান ৮৮ ও লুৎফর পেয়েছে ৮৫টি ভোট। সহ-সভাপতি পদে আশরাফউদ্দিন ৮৮ ও জিয়াউদ্দিন ৮৮টি, সহ-সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান পেয়েছ ৯১ ও মোহাম্মদ আলী পেয়েছে ৮৫টি ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৯০ ও আমজাদ হোসেন পেয়েছে ৮৫টি ভোট।
বিজয়ী সভাপতি মোজাম্মেল হক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ ধরণের লজ্জার নির্বাচন যেন আর কো জায়গায় না করতে হয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে যেন মানুষ সমাজ গড়ার অঙ্গিকার নিয়েই আসে। আমি সভাপতি পদে বিজয়ী হলেও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী লুৎফর ভাইকে সমবেদনা জানাচ্ছি। সামান্য ভোটের ব্যবধানে লুৎফর ভাই অপর প্যাণেলের প্রার্থী শাহজাহানের সাথে পরাজিত হওয়ায়। লুৎফর ভাই সমাজ সেবায় খুবই বিনয়ী ছিল। তাকে মসজিদ কমিটিতে খুবই প্রয়োজন ছিল।