বেশি পাস করলেও দোষ, কম পাশ করলেও দোষ : শিক্ষামন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, আগে বেশি পাস করতো, বলা হতো ভালোভাবে খাতা দেখা হয়নি। আবার এখন কম পাস করেছে, এখন বলা হচ্ছে, পাসের হার কমে গেলো কেন। বেশি পাস করলেও দোষ, কম পাস করলেও দোষ। আসলে আমরা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে, খাতা দেখার মান ঠিক রাখতে গিয়ে, পাসের সংখ্যা কিছুটা কম হবে এটাই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে  এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এবারের পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ করার কারও সুযোগ ছিল না। এমনকি কোনো গুজবও কেউ রটাতে পারেনি। পরীক্ষার্থী বাড়ছে। ঝরে পড়া কমেছে। সংখ্যাগত এবং গুণগত দিক থেকে বিজ্ঞান পরীক্ষায় উন্নতি অভ্যাহত আছে। কারিগরি শিক্ষাতেও পরিবর্তন এসেছে, এই পরীক্ষার ফলাফলে তা প্রমাণিত হয়। আমাদের ছাত্রীদের সমতা অর্জনে সমাজে সার্বিকভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন অব্যাহত আছে।

অন্যদিকে, পাসের হার নিম্নমুখী স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় সংখ্যায় আমরা বেশি এগিয়ে আছি। এখন আমরা গুণগত মানের দিকটায় গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা ক্লাস নেওয়া ও ভালোভাবে পরীক্ষা নেওয়ার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ঠিকভাবে যেন খাতা দেখা হয়, সেদিকে নজর দিচ্ছি। যা বাস্তব, যা সত্য সেই ফল বেরিয়ে এসেছে। আমরা কাউকে নম্বর বাড়িয়ে দিতে বলি না, কমাতেও বলি না। আমরা শিক্ষকদের বাধ্য করছি সঠিক মূল্যায়নের।

ফল বিপর্যয় নিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখবো। সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোও দেখবে, মূল্যায়ন করবে। কেন খারাপ হলো, আমাদের বোর্ডগুলো দেখবে। প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়গুলো দেখবে। আমরা সমস্যা চিহ্নিত করবো।

উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবারে সার্বিকভাবে পাস করেছে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ২৬২ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৭২৬ জন।

সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ পয়েন্ট। আর পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮ হাজার ৪৬৪ জন।

add-content

আরও খবর

পঠিত