নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ফুটপাতের চাঁদাবাজ হিসেবে অভিযুক্ত হকার নেতা রহিম মুন্সী বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন । রমজানকে পুঁজি করে আবারো বঙ্গবন্ধু সড়ক দখলে নেয়ার ষড়যন্ত্রকারী। কয়েকজন সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ তাদের মারতে তেড়ে যান রহিম মুন্সী।
মঙ্গলবার ( ১৫ মে) সকালে পল্লী উন্নয়ণ ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা চাষাড়া নবনির্মিত সমবায় ভবন পরিদর্শনে আসেন। এ সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকরা মন্ত্রীর বক্তব্য নেয়ার সময় পেছন থেকে সাংবাদিকদের সরে যেতে বলেন রহিম মুন্সী ও তার সঙ্গে থাকা অপর এক হকার।
দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্থ হয়ে সাংবাদিকরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে কয়েকজন সাংবাদিককে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দসহ তাদের মারতে তেড়ে যান রহিম মুন্সী। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়িয়ে যেতে বিষয়টিকে আর বাড়তে দেননি কর্তব্যরত সাংবাদিকরা।
পরবর্তীতে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা চাষাড়া শহীদ মিনারে জড়ো হলে, সেখানে সাঙ্গোপাঙ্গসহ উপস্থিত হন আরেক হকার নেতা আসাদুল ইসলাম আসাদ। আসাদের নেতৃত্বে হকাররা সেখানকার ফটোসাংবাদিকদের মারতে উদ্যত হন।
বলতে থাকেন, (তোরা লিখে আমাদের থামাইতে পারবি না, বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসবেই। আমরা রহিম মুন্সীর নেতৃত্বে একলগে আছি। দেখি আমাগো কে কি করতে পারে।) এসময় সাংবাদিক ও আশপাশের সাধারণ জনতা একত্রিত হয়ে পাল্টা প্রতিবাদ করলে অবস্থা বেগতিক দেখে শহীদ মিনার প্রস্থান করে আসাদ ও তার বাহিনী।
সামান্য দুজন ফুটপাত চাঁদাবাজ ও তাদের বাহিনীর এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরনে হতবাক উপস্থিত সাধারণ মানুষ। সকলের একই প্রশ্ন এই চাঁদাবাজরা এতো সাহস কোথায় পায়? কারা তাদের প্ররোচনা দিচ্ছে আর তাদের পেছনের শক্তিই বা কারা? প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা বার বার বলছেন বঙ্গবন্ধু সড়কে কোন হকার নয়, সেখানে কোন শক্তি বলে তারা এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে?
এ বিষয়ে হকার নেতা রহিম মুন্সী বলেন, সমবায় ভবনে মন্ত্রী আর শামিম ওসমান আসবে শুইনা আমরা সেখানে যাই। সে সময় আমাদের এক হকারের সঙ্গে সাংবাদিকদের সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়। পরে হকার নেতা আসাদ শহীদ মিনারে এইটা মিলমিশ করতে গেলে সাংবাদিকরা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আমাদেও কোন শত্রুতা নাই।