নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪ : গরিবের ঘরে জন্ম গ্রহন করেছি কাজ করলে খাবার যোটে এখনতো কাজ করতে পারিনা সরকারের পক্ষ থেকে তিন মাস পর পর আগে ১৫ হাজার করে পাইতাম এখন ২৪ হাজার করে পাই যে টাকা পাই তাতে গ্যাস বিল পানির বিল ও বিদ্যুৎ বিল দিয়ে যা কিছু থাকে তা দিয়ে ডাল-ভাত খাওয়া চলে চিকিসা করবো কই থেকে আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই অসুস্থ ছেলে নাই চারটি মেয়ে আছে তারা পরের সংসার করে স্বামীর অগোচরে কিছু সহযোগিতা করে পরের ছেলে জানতে পারলে সমস্যা হবে তাই না করি হতাশার সুরে জানালেন নারায়নগঞ্জ বন্দর উপজেলার কলাবাগ রেললাইন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন রোকন। টাকার আভাবে চিকিৎসা চালাতে পারছেননা এক বার ব্রেন স্টক দুই বার র্হাট এটাক করে পেরালাইস্ড হয়ে হাত-পা অচল অবস্থায় পরে রয়েছে ঘরে এ ব্যপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন রোকন একান্ত সাক্ষাত কারে নারায়নগজ্ঞ বার্তা ২৪ কে জানায়, ২১ বছর গার্মেন্টসে কাজ করেছি ৬ বছর ধরে পেরালাইস্ড অবস্থায় পরে আছি প্রতি মাসে ৯ হাজার করে টাকা লাগে পেরাথাই নিতে ৮শত করে টাকা লাগে ঔষধ খেতে ৫ বছর ধরে পেরাথাই নিতে পাড়ছিনা যার কারনে চলাফেরা করতে পারি না পেরাথাই নেব সেই সামর্থ্য আমার নাই যা ছিলো এক বছর পর্যন্ত সয়-সম্পত্তি বিক্রি করে চিকিৎসা চালিয়েছি এখন পারছিনা বলেই কন্নায় ভেঙে পরেন আর কান্না কান্না সুরে বলেন রাজাকার ও পাকবাহিনীরা দেশ ও মানুষের উপর যে নির্মম অত্যাচার চালানো শুরু করেছিল সেই অত্যাচার আর সহ্য না করতে পেরে দেশ ছেড়ে ছুটে যাই ইন্ডিয়া পালাটান সেখানে গেংশিং ওস্তাদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফিরে কমান্ডার মো:সেলিম মিয়ার গ্রুপে যোগদেই প্রথমে কোড়িপারা তার পর কলাগাছিয়া ও হাজিপুর এলাকায় যুদ্ধ করি হাজিপুর এলাকায় পাকবাহিনীদের সাথে অনুমানিক বেলা ১২ টার সময় যুদ্ধ চলাকালিন অবস্থায় আমাদের চার পাশে ঘিরে ফেলে আমরা দেখতে পাইনি আমাদের এক সংগীর চোখে পরলে আমরা প্রানে বেঁচে যাই। তখন আমি বিয়ে করিনাই ঐ সময় যদি আমি শহিদ হতাম তাহলে আজ এই পরিস্থিতিতে পরতে হতো না। এখন আমি নিজেই অসুস্থ স্ত্রীকে কিভাবে দেখবো এ ব্যপারে বীর মুক্তিযুদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন রোকন এর স্ত্রী আমাদের নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪ কে জানায়, স্বামীর চিকিৎসা চালানোর জন্য অনেকের কাছেই সহযোগীতা চেয়েছি পাইনি বরং অপমানিত হয়ে ফিরতে হয়েছে। এ ব্যপারে বন্দর থানা কমান্ডার মো: আব্দুল লতিফ এর সাথে কথা বললে জানায় রোকন উদ্দিনের শারিরিক অবস্থা ভালোনা আমি জানতাম না আমি। তার ব্যপারটা আমি আগামী ১২ ডিসেম্বর শনিবার মিটিংয়ে তুলবো এবং যত টুকু সম্ভব চেষ্টা করবো।