বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আয়নাল হকের ইন্তেকাল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আয়নাল হক চির বিদায় নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ১৫  মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নাল্লিাাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন। ৯০ বছর বয়সে ৭১ এর পর ধামগড় ইউনিয়ন থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানেও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে লিভার, ফুসফুস ও হার্টের রোগে  ভোগ ছিলেন।

তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রয়াত এ.কে.এম সামসুজ্জোহার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। পরে ঐ পরিবারের সঙ্গে প্রয়াত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি নাসিম ওসমানের সঙ্গে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়ার পর  রাজনৈতিক ভাবে জনগনের অস্তা অর্জন করে জনগনের ভোটে তৃতীয় বার ধামগড় ইউয়িনন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। মঙ্গলবার বাদ আছর নিজ বাড়ি সংলগ্ন জাঙ্গাল ঈদগাঁ মাঠ প্রাঙ্গনে মরহুমে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

মরহুমের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমান, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল জাহের, বন্দর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আঃ লতিফ, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব ওসমান গনী, আলমাছ ভূইঁয়া, ধামগড়ের সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি নেতা রাজা মিয়া, এলাকার প্রায় ৫ হাজার লোকসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরহুমের লাশ জাঙ্গাল কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরদেহে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করেন সরকারের পক্ষ থেকে এমপি সেলিম ওসমান, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজমীন ও বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম। রাষ্ট্রীয় মর্যাদাকালে সশস্ত্র সালাম ও ভিগল বাজানো হয়। মরদেহে জাতীয় পতাকা দিয়ে লাশ কবরস্থানে নেয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, ৪ কন্যা  ও স্ত্রী সহ বহু গুনগ্রাহি রেখে গেছেন।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত