নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : ভিড়ের চাপ অগ্রাহ্য করে কয়েকজন খুদে সমর্থক ব্যানারটা তুলে ধরেছিল। যাতে লেখা- মেসি, আমরা তোমাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চাই। বুধবার রাতে যখন লিওনেল মেসি এবং তার দল বুয়েনস আইরেস ছেড়ে বিশ্বকাপ অভিযানে বেরিয়ে পড়ছে, শহর ভেঙে পড়েছিল টিম হোটেলের সামনে। যে পথ দিয়ে মেসিদের বাস বিমানবন্দরের দিকে গিয়েছে, তার দুই ধারে আর্জেন্টিনার পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে পড়েছিল শয়ে শয়ে মানুষ। কোথাও উচ্চারিত, কোথাও অনুচ্চারিত আর্তিটা ফুটে উঠছিল তাদের মুখাবয়বে- বিশ্বকাপটা নিয়ে ঘরে ফিরো মেসি।
প্রায় দুই দশক ধরে এ ছবিটা দেখা গিয়েছে আর্জেন্টিনায়। একজন ফুটবলারকে ঘিরে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখা এবং শেষমেশ সে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় বিদ্ধ হওয়া। এবারে মেসি এবং তার ভক্তরাও জানেন, রাশিয়ায় স্বপ্নপূরণ না হলে বিশ্বকাপ খুব সম্ভবত অধরাই থেকে যাবে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের। তা হলে কি এবার প্রত্যাশার চাপটা দ্বিগুণ হয়ে উঠবে মেসির ওপর? দল বুয়েনস আইরেস ছাড়ার আগে সে চাপ থেকে আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে যতটা সম্ভব রেহাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট মাউরিসিয়ো মাকরি।
ফুটবলারদের বিদায় জানাতে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার দপ্তরেই তার বিশেষ হেলিকপ্টারে উড়ে এসেছিলেন মাকরি। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট মেয়ে আন্তোনিয়া। মেসির সঙ্গে আলাদাভাবে বেশ কিছুটা সময় কথাও বলেন তিনি। আর্জেন্টেনীয় প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মেসিকে ডেকে মাকরি বলেন, জেনে রেখো, তোমরা বিশ্বকাপে যা-ই করবে, তাতেই আর্জেন্টিনার মানুষ খুশি হবে। আর এটাও ভেব না, তুমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে, সেটা তোমার ফুটবল জীবনে কালো দাগ হিসেবে দেখা হবে। তোমার ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হবে। এ রকম উন্মাদের মতো ভাবনা কারও মাথায় নেই।
মেসিদের তরফে প্রেসিডেন্টকে দলের একটি জার্সি উপহারও দেওয়া হয়। ফুটবলারদের উদ্দেশে মাকরি বলেন, আমাদের একটা দারুণ দল আছে। দারুণ সব ফুটবলার আছে। সব চেয়ে বড় কথা হলো, আমরা ভাগ্যবান যে বিশ্বের সেরা ফুটবলার আছে আমাদের দলে। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, তোমরা বিশ্বকাপে খেলাটা উপভোগ করছ কিনা। আমি বলব, যাও আর বিশ্বকাপ উপভোগ কর। বৃহস্পতিবার রাতেই মেসিরা পৌঁছে গিয়েছেন বার্সেলোনা। সেখানেও এক ছবি। বিমানবন্দরের বাইরে আর্জেন্টিনা দলকে স্বাগত জানাতে ভিড় অসংখ্য ভক্তের।