নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব সংবাদদাতা ) : বন্দরে বিএম ইউনিয়ণ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা সেন্টারে গতকাল রোববার গণীত পরীক্ষায় ২৮ জন ছাত্রীকে সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ১০ মিনিট দেরীতে দিয়েছে। এতে করে ২৮ জন পরীক্ষার্থী সময় কম পেয়ে পূর্ন পরীক্ষা দিতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা ১০ মিনিট সময় বৃদ্ধির দাবি করলেও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা সময় বৃদ্ধি করেনি। পরীক্ষার্থীর ছিল বন্দর গালস স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ছাত্রীরা জানান, তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র চাইলেও পরীক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষকা তাদের হাতে প্রশ্ন দেননি। ১০ মিনিট সময় নষ্ট করে তাদের হাতে প্রশ্ন তুলে দেন। তারা দেরীর ১০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করে তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ চাইলেও তাদের এ সুযোগ দেয়া হয়নি। এতে করে তারার সবকটি প্রশ্নের উত্ত দিতে পারেনি।
এ ব্যপারে বন্দর গালস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বদরুজ্জামান জানান, তার স্কুলের মেধাবী ছাত্রীদের ২৮ জন বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ১০৮ নং কক্ষে পরীক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষিকা নূরুন্নাহার ইচ্ছাকৃত ভাবে ছাত্রীদের মেধা ধ্বংস করার জন্য ১০ মিনিট পরে প্রশ্ন পত্র হাতে দেয়। সময় কম পাওযায় পরীক্ষার্থীরা পূনাঙ্গ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।
বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ ছাত্তার বলেন, অবজেকটিভ ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ পর্যন্ত হয়। অবজেকটিভ শেষ হওয়ার পর প্রশ্ন নিয়ে দিতে ৫ মিনিট ও খাতা তুলে পুনরায় প্রশ্ন দিতে ৫ মিনিট দেরী হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগেই সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় খাতা তুলে নেয়া হয়েছে এটা ক্লাশ টিচারের ভুল ছিল। পরে বিষয়টি আমরা সমাধান করে দিয়েছি। এ বিষয়ে অভিভাবকরা শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।