নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে মনির হোসেন (২৫) নামে সোনারগাঁয়ের এক বাস চালককে অপহরণের পর হত্যার চেষ্টাকালে ৩ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ধারালো অস্ত্রসহ পালিয়েছে মূল হোতা মাসুদ। ১৩ আগস্ট শনিবার সন্ধায় থানার মদনপুর আন্দিরপাড়স্থ শাইরা গার্ডেনে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মনির হোসেন বাদী হয়ে শনিবার রাতেই মূল হোতা মাসুদ ও তার ভাড়াটে গ্রেফতারকৃত ৩ সন্ত্রাসীকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩০ (০৮) ১৬ইং।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ের নয়াপুর এলাকার আলী আহাম্মদের ছেলে মনির হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে রাজধানীর পূর্বাচল পরিবহণের একজন চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বিগত ৪ বছর পূর্বে মনির হোসেন তারই ফুফাতো ভাই মাসুদের প্রেমিকাকে সামাজিকভাবে বিয়ে করে। এ নিয়ে মনিরের সঙ্গে মাসুদের মনোমালিন্যতা চলছিল। বিয়ের পরও মনিরের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো মাসুদ। মনির একাধিকবার মাসুদকে সাবধান করে দেয়। কিন্তু মনিরের হুংকারের তোয়াক্কা না করে আরো বেপরোয়ার হয়ে ওঠে মাসুদ। এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধায় মনির মদনপুর চানপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত শেষে কাঁচপুরে যাওয়ার পথে মাসুদ ও তার ভাড়াটে গুন্ডা ফুফাতো বোনকে সামাজিকভাবে বিয়ে করে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় নয়াপুর হতে মদনপুর চানপুর এলাকায় একটি বিয়ের দাওয়াত শেষে কাঁচপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সোয়া ৬টার সময় চানপুর বাসষ্ট্যান্ড পৌঁছলে এ সময় পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা ঐ বখাটে মাসুদ, তার ভাড়াটে গুন্ডা চানপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে হাসান (২২), সেলিমের ছেলে রিয়াদ (১৮) ও মদনপুর ছোটবাগ এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে বাবু (১৮) গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী শাইরা গার্ডেনের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মনির হোসেনকে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার জন্য উদ্যত্ত হলে স্থানীয়রা ভুক্তভোগী মনির হোসেনের চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন টহল পুলিশকে সংবাদ দিলে ও বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে ৩ সন্ত্রাসীকে আটকে সক্ষম হয়।