নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক মামলাসহ ১৪ মামলার আসামি মো: বিপ্লব (৩১) নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
১৫ জুলাই সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে চাঁনমারীতে মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত বিপ্লব নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার চাঁনমারী এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই কামরুল হাসান জানান, বিপ্লবের বিরুদ্ধে শুধু ফতুল্লাতেই ১৪টি মাদকের মামলা রয়েছে। তিনি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাভুক্ত। তাকে গ্রেফতারের জন্য লিংক রোডের পাশে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের দিকে অভিযানে গেলে ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলি করে। পরে ডিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এরপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে সেখানে বিপ্লবের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধস্থলে আহত হন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল এবং দুই কনস্টেবল।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত চাঁনমারী এলাকায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে শীষ বাজিয়ে মাদক ব্যবসা করতো বিপ্লব ও তার স্ত্রী সাজুসহ হান্নান-মান্নান, রাসেল, মোহর, আলীর কয়েকটি বাহিনী।
পরে সদর উপজেলার তৎকালীন ইউএনও গাউসুল আজমের নেতৃত্বে চাঁনমারী এলাকাটি মাদকমুক্ত করে সেখানকার শিশু-কিশোরদের জন্যে স্বপ্নডানা নামে একটি সেবামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তার পদোন্নতি ও বদলীজনিত কারনে নারায়ণগঞ্জ ত্যাগ করে গেলে আবারো চাঁনমারী এলাকার শীষ বাজিয়ে মাদক বিক্রি করা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিপ্লব ও তার স্ত্রী সাজু বেগম মাদক ব্যবসা শুরু করে দেয়।
এর সাথে ফিরে আসে হান্নান-মান্নান, মোহর আলী, রাসেল ও আলী বাহিনীও। এ অবস্থায় আবারো চাঁনমারীতে মাদক ব্যবসার বাজার রমরমা হয়ে উঠে। এ সকল বাহিনীর প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোর মাদক বিক্রেতা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে শীষ বাজিয়ে মাদক বিক্রি করে আসছিল।
তারা এতটাই বেপরোয়া ও শীর্ষ প্রকৃতির যে, চাঁনমারী বস্তিতে মাদক বিরোধী অভিযানের সময় পুলিশ ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের উপর হামলা করতেও দ্বিধাবোধ করতো না।