বন্দর মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাটে ড্রেজার সন্ত্রাসী মামুনগং বেপরোয়া

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরের মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাটে বিএনপিকে সাথে নিয়ে ( মহাজোট নেতাদের জমি দখলের মহোৎসব ) বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সর্বত্র তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের সাথে বিএনপির এমন মিলের কথায় সর্বত্র বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। কথিত যুবদল নেতা ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ও ড্রেজার সন্ত্রাসী মোক্তার হোসেন মামুনের খুঁটির জোড় কোথায়? এমন প্রশ্নও করেছে কেউ কেউ।

উল্লেখ্য, গত ৫দিন যাবৎ বন্দরের মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাটস্থ সরকারি খাস কৃষি জমি ও নদীর তীরের বিআইডব্লিউটি এর জমি ড্রেজারের পাইপ দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করে চলছে বিএনপি ও মহাজোটের ড্রেজার সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা। জবর দখলের কবলে কয়েক কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। ৫ দিন যাবত সরকারি জমি জবর দখল করে ড্রেজার দিয়ে  বালু ভরাট অব্যহত রয়েছে। এ নিয়ে নিন্ম আয়ের কৃষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিন্ম আয়ের কৃষকরা সরকারি খাস জমিতে সবজি আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সেই সকল নিন্ম আয়ের কৃষকদের পেটে লাথি মেরে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে মহাজোট নেতারা এবার সরকারি জমি জবর দখলে মেতে উঠেছে বলে এলাকাবাসী জানান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাটস্থ ৩টি ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাস জমিতে বালু ফেলা হচ্ছে।

এ ব্যপারে ড্রেজার কর্মচারিদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন, জাতীয়পার্টি নেতা মঞ্জুর হাসান ও কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান এ জমি ভরাট করাচ্ছেন। মাটি ভরাটের দায়িত্বে রয়েছে ড্রেজার সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মামুনের নেতৃত্বে একদল বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী।প্রকাশ্যে কয়েক কোটি টাকার সরকারী জমি এভাবে বালু দিয়ে ভরাটের মহোৎসব চললেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে জনমতে সমালোচনা বিরাজ করছে।

এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, এ জমি খাস নয় মালিকানা। তারা বিভিন্ন মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়েছেন।এ ব্যপারে জাতীয়পার্টির নেতা মঞ্জুর হাসান বলেন, তারা খাসের জমি ডিসির কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন। এখন এ খাস জমি তাদের মালিকানায়।

এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রদাণকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।

এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী বলেন, জেলা প্রশাসক সরকারি জমি বিক্রি করতে পারেনা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ৪ই সেপ্টেম্বর বুধবার বালু ভরাট করতে নিষেধ করেছি।

এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, সরকারি জমি ভরাট হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা নেই। এদিকে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে বালু ভরাট অব্যহত রেখেছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত