বন্দর ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দর ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ নূরুল হক ও সহকারী শিক্ষক জহির হোসেনের পিস্টপোষকায় ও সহযোগিতায় এক ঝাক জামায়াত নেতা মাদ্রাসায় অবস্থান করছে। তাদের সেল্টার দাতা হিসেবে রয়েছে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নানা দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসায় বহাল তবিয়তে রয়েছে জামাতের রোকন মাওলানা মোঃ শহীদুল ইসলাম যিনি খালেদা নিজামী সরকারের আমলে দূর্নীতি করে বন্দর মাদরাসার অধ্যক্ষ হয়েছিল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি স্টোর রুমে ফেলে রেখে ও ১৫ই আগস্ট পরীক্ষার রুটিন রাখার দায়ে মামলা খেয়েছিল। তাঁর শ্যালক মাওঃ মোঃ মহিউদ্দিন, জামাত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৫ম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষা না দিলে ৮ম শ্রেনীতে পড়া যায় না। কিন্তু বন্দর ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী শিক্ষক জহির হোসেন ৫ম শ্রেণীর সমাপণী পরীক্ষা না দিলেও কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহন করে ৮ম শ্রেণীতে বিগত কয়েক বৎসর যাবৎ জেডিসি পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বার্ষিক পরীক্ষায় কোন ছাত্র/ছাত্রী অকৃতকার্য হলে যত বিষয়ে অকৃতকার্য হয় প্রত্যেক বিষয়ের জণ্য ২০০শত টাকা করে উৎকোচ নিয়ে উপরের ক্লাশে তুলে দেয়। এ সকল টাকা মাদ্রাসার ফান্ডে জমা না দিয়ে নিজেরে পকেটে চলে যায়। বছরের প্রথমে সরকার নিষিদ্ধ নি¤œমানের নোট গাইড বই পাঠ্য করে ৬০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রকাশনা কোম্পানীর কাছ থেকে। সে বই নিজেরাই প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর কাছে বেশী দামে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে শিক্ষার মান প্রনিয়ত নিন্ম মানের দিকে যাচ্ছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগন অনেক সময় শিক্ষক জহিরের সাথে ঝগরাও করেছে নিন্মমানের বই পাঠ্য করার জন্য। তারা মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ফি বাবাদ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। তা ছাড়াও ৫ম, ৮ম ও ১০ম শ্রেণীর রেজিট্রেশন ও বোর্ড পরীক্ষার ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত হাজার হাজার টাকা আত্বসাৎ করে চলেছে অধ্যক্ষ নূরুল হক মাষ্টার জহির ও তাদের সহযোগিরা।

এ সকল টাকার ভাগ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারী গন চাইলে অধ্যক্ষ নূরুল হক বলেন, জহির সার ও মোস্তাফিজুরের নিকট জমা আছে। ঐ টাকা দিয়ে ভ্রমনে যাওয়া হবে। অথচ গুটিকতক জামাত নেতা শিক্ষকদের পকেটে থাকে। সাধারণ কোন শিক্ষক-কর্মচারী ঐ টাকার ভাগ পায় না। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীগন এ ব্যাপারে বললেই অধ্যক্ষ ও জামাত নেতারা মাদরাসার সভাপতি থানা ছাত্রলীগ সভাপতির দোহাই দেয় এবং বলে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না কারন সভাপতি ও তার স্বপরিবারকে আমরা পিকনিকে নিয়ে যাচ্ছি আমাদের আর চিন্তা কিসের। অধ্যক্ষ নুরুল হক, মাষ্টার জহির ও জামাত নেতা মোস্তাফিজ গর্ভ করে বলে আমাদের এ সকল টাকা পয়সার ব্যাপারে যারাই কথা বলবে তাদের কে সভাপতির দ্বারা ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তাই সাধারণ ও নিরিহ শিক্ষক কর্মচারীগনে মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগামী ১০ তারিখে মাদ্রাসার এ লুন্ঠিত টাকা দিয়ে মাদ্রাসার সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ ও তার পরিবারকে পিকনিকে নিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীগন ঐটাকার ভাগ চাইলে তাদের কে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মাদরাসার বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিও সেচ্ছাচারিতার তদন্ত পূর্বক উর্ধতন কর্মকর্তা গনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে অভিভাবক মহল।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত