নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে অরাজগতা সৃষ্টির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬ কাউন্সিলরসহ ৪৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ৮ ফেব্রুয়ারী বন্দর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক অজয় কুমার পাল বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২১(২)১৮ ধারাঃ- ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫)(ঘ) তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলি আইন (সংশোধনী/২) এর ৩/৬ দঃবিঃ। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি নাশকতার অপরাধে ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ (৪৮)কে গ্রেপ্তার করেছে। প্রেপ্তারকৃত কাউন্সিলর মুরাদ সোনাকান্দা এলাকার মরহুম হাজী বাদশা মিয়ার ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান উদ্দিন ভূইয়া, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাাদরিল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকার বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ শাহিন, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মাহাবুব, বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, একরামপুর কাজীবাড়ী এলাকার বিএনপি নেতা আনিস, বন্দর খানবাড়ী এলাকার বন্দর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহেল খান বাবু, স্বল্পেরচক এলাকার বিএনপি নেতা মোঃ আলী ওরফে ব্যাংকার, একরামপুর পৌরসভা এলাকার ছাত্রদল নেতা শাকিল, কদম রসুল মাঠপাড়া এলাকার বিএনপি কর্মী খোকন, একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার ছাত্রদল নেতা জনী, মহসিন হোসেন, ও আক্তার হোসেন, নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকার যুবদল নেতা নাজমুল হক রানা, বিএনপি নেতা আমান সরদার, ছাত্রদল নেতা সৌরভ, নবীগঞ্জ মাঠপাড়া এলাকার দোলন, কবরস্থান রোড এলাকার সেলিম, আইসতলা কলাবাগ এলাকার ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন শিশির,
নবীগঞ্জ নূরবাগ এলাকার শ্রমিকদল নেতা ইমাম উদ্দিন তোহা, বন্দর ইটালী বিল্ডিং এলাকার মিন্টু, কাজীবাড়ী এলাকার কাজী বাদল, রেলী আবাসিক এলাকার যুবদল নেতা পনির হোসেন ভূইয়া, যুবদল নেতা কাজী সোহাগ, আমিন আবাসিক এলাকার যুবদল নেতা হুমায়ন, সোনাকান্দা এলাকার বন্দর শহর বিএনপি সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি সাধারন সম্পাদক ও দেওয়ানবাগ এলাকার মাজহারুল ইসলাম হিরন, গকুলদাশেরবাগ এলাকার জামায়াত নেতা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউছার আশা, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোস্তাক, লক্ষনখোলা এলাকার সেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাইদুর রহমান, চৌরাপাড়া এলাকার বিএনপি নেতা নেসার উদ্দিন, মালিবাগ এলাকার বিএনপি নেতা কালা মনির, সোনাকান্দা এলাকার জামায়াত নেতা কাজী মামুন, সালেহনগর এলাকার যুবদল নেতা পিংকি, দেওয়ানবাগ এলাকার যুবদল নেতা বালু মনির, দেওয়ানবাগ এলাকার বিএনপি কর্মী গ্যাস কাউছার, সোনাকান্দা এলাকার বন্দর থানার বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শাহেন শাহ, বন্দর কবরস্থান রোড এলাকার বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন সাউদ ও রসুলবাগ এলাকার বিএনপি নেতা আলমগীর।
পুলিশ জানিয়েছে, উল্লেখিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬ কাউন্সিলরসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৪৮ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাত ৩০/৪০ মিলে গত ৮ ফেব্রুয়ারী ভোর ৫টা ৫০ মিেিন বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কে রাস্তা গাছ ফেলে রেখে অরাজগতা সৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে রাস্তায় ফেলাকৃত গাছ সড়ানোর কথা বলে। ওই সময় বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা আরো উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা মামলা রুজু হলে ডিবি পুলিশ রাতে এ মামলার ৩নং এজাহারভূক্ত আসামী কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।