বন্দরে সংঘর্ষে আহতদের খোঁজ নিলেন আজমেরী ও তার মা পারভীন ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত রাইসুল হকের পরিবারের সদস্য আহত গুলিবিদ্ধ মঈনুল হক পারভেজ ও তার স্ত্রী আবিদা সুলতানা সুমাকে দেখতে আসেন পারভীন ওসমান ও তার ছেলে আজমেরী ওসমান। ২৫মার্চ শনিবার দুপুর ১টার দিকে ফরাজিকান্দাস্থ রাইসুল হক চেয়ারম্যানের বাসভবনে আহতদের খোজ-খবর নেন তারা। এ সময় আজমেরী ওসমান ও তার মা পারভীন ওসমান সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝি জানিয়ে রাইসুল হক চেয়ারম্যানের পরিবারের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন।

এ সময় আজমেরী ওসমান আহত পারভেজ ও তার স্ত্রীকে সান্তনা দিয়ে বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কারনেই এমন ঘটনাটি ঘটেছে। এজন্য আমি ও আমার পরিবার দু:খ প্রকাশ করছি। জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাইসুল হক চাচা ছিলেন আমার পিতা প্রয়াত সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ঘনিষ্ট বন্ধু। রাইসুল হক চাচার বাড়ি ছিল আমার পিতার সেকেন্ড হোম। তিনি ছিলেন ওসমান পরিবারের খুবই কাছের মানুষ। আলী হায়দার শামীম চাচাকে বন্দরের কিছু লোক ভুল বুঝিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এজন্য আমি ও আমার পরিবার দু:খ প্রকাশ করছি। এবং সব সময় রাইসুল হক চাচার পরিবারের পাশে থাকবো।

পারভেজের স্ত্রী আহত আবিদা সুলতানা সুমা বলেন, তারা নিজ ইচ্ছায় আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজখবর নিয়েছে এবং উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পরে ওই জমিতে চারপাশে প্রাচীর দিয়ে দখল করার সময় রাইসুল হক চেয়ারম্যানের ছেলে মঈনুল হক পারভেজের স্ত্রী আবিদা সুলতানা সুমা গিয়ে বাধা দেয়। এরপরই দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে গুরুতর আহত হয় মঈনুল হক পারভেজ, তার স্ত্রী আবিদা সুলতানা সুমাসহ আরো ১০জন । এ সময় এলাকাবাসী ২টি হোন্ডার আগুন ধরিয়ে দেয় ও ২টি ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়। ফাকা গুলি বর্ষনের শব্দে পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

add-content

আরও খবর

পঠিত