বন্দরে শ্রমিক ছাটাই ঘটনায় গার্মেন্টস ভাংচুর, আহত-১০

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে ছাটাইকৃত স্থানীয় ১২ শ্রমিককে পূর্ণ বহলসহ ১৭ দফা দাবিতে গার্মেন্টের ভেতরে কম্পিউটার, কাঁচের গ্লাসসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। আজ ২০ই মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ কামতাল এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টসে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত শ্রমিকদের হামলায়  গার্মেন্ট ব্যবস্থাপক কবিরুল আহম্মেদ (৪০), পিএম নুসরাত ওরফে সিমু (৪৩) জিএম জাহের (২৮) সিকিউরিটি ইনচার্জ নাহিদ ও সুপারভাইজার জাহিদ (৩০) সহ কমপক্ষে ১০ আহত হন। গুরুতর আহতদের ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ভাংচুরের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার, নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার অফিসার দিপক চন্দ্র সাহা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

জানা গেছে, ঈদের ছুটির পর বৃহস্পতিবার  থেকে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টস  চালু রাখার পূর্বের সিন্ধান্ত। সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে শ্রমিক ভেতরে প্রবেশ শুরু করে। স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য একটি গেইট। দুরবর্তী এলাকার শ্রমিকদের জন্য বিকল্প গেইট। দুই গেইটেই নজরধারি অবস্থানে সিকিউরিটি সদস্যরা পরিচয় পত্র চেক করে ভেতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এতে স্থানীয় শ্রমিকদের গেইটে দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। ওই সময় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে সুইং সেকশনের  ময়না নামের নারী শ্রমিক। সিকিউরিটি গার্ডের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যায় ওই নারী শ্রমিক। সিকিউরিটি গার্ড নারী শ্রমিকের দাঁত ভেঙ্গেছে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে পুরো গার্মেন্টস। মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যেউত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।  পরে স্থানীয় ২/৩ শত শ্রমিক  লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে গার্মেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে ভাংচুর তান্ডব চালায়। স্থানীয় ছাটাইকৃত ১২ শ্রমিককে পূর্ণ বহালসহ ১৭ দফা দাবিতে গার্মেন্টস ভেতরে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। দুপুর ১২ টার দিকে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসিবউদ্দিনের সঙ্গে প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা  আলোচনার মাধ্যমে আগামী রোববার পর্যন্ত গার্মেন্ট বন্ধ ঘোষানা করেন এবং সোমবার আলোচনায় বসে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে শ্রমিকরা অবস্থান তুলে নেন।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাহ জানান, স্থানীয় ১২ জন শ্রমিককে বিধি মোতাবেক ছাটাই করা হয়। এতে শ্রমিকরা এক জোট হয়ে ১৭ দফা দাবি উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তারে একটি স্মরকলিপি প্রদানে স্থানীয় শ্রমিকরা। শ্রমিকদের পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা হিসাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত