নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নিখোঁজের ৩ তিন পর একটি পুকুর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আরাফাত রহমান নামে ৯ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর শনিবার নিহত আরাফাতের মা রিনজু বেগম বন্দরের লাউসার এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপন (২৬) ও তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাব্বিউল ওরফে রাব্বি (২৩) নাম উল্লেখ করে ২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়।
বন্দরের মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকার একটি পুকুর থেকে গত ১৮ শুক্রবার বন্দরের লাউসার এলাকার বাসিন্দা ও মদনপুর ইউপির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে মনা মেম্বারের ছেলে আরাফাত রহমানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । এ ঘটনায় পুলিশ লাউসার এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে। এ দিকে অপর আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
নিহতের মা রিনজু বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার চাচাতো দেবর লাউসার এলাকার আলী হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩০) জীবিকার তাগিদে বর্তমানে কুয়েতে অবস্থান করছেন। তার অবর্তমানে স্বামী রফিকুল ইসলাম মনা মেম্বার পরিবারটিকে দেখভাল করছেন। ইতোমধ্যে চাচাতো দেবরের স্ত্রী লাউসার এলাকার ইসলাম মিয়ার ছেলে রিপনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে মনা মেম্বার দুই জনকে শাসন করেন। দুই মাস আগে রিপন চাচাতো দেবরের স্ত্রীকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরে আসে। মনা মেম্বার এর প্রতিবাদ করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তারা মনা মেম্বারকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । গত ১৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিপন ও তার বন্ধু রাব্বি ব্যাডমিন্টন খেলার কথা বলে আরাফাতকে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার বাড়ির পাশের একটি পুকুরে আরাফাতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভুইয়া জানান, এ ঘটনায় নিহত আরাফাতের মা রিনজু বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলার ২নং আসামী রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।