নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে আশিকুর রহমান নামে এক গার্মেন্ট কর্মী নিহত ও বাবুল নামে অপর এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর বন্দর থানা ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করা হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিডিয়া উয়িং ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ রোমান মুঠাফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন প্রশাসনিক কারণে তাকে পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে বিষয়টি গোপন রাখলেও রবিবার আশিকুর রহমানের লাশ উদ্ধার দেখিয়ে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের এসআই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, কনস্টেল মনোয়ার, মোহনসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। এ ছাড়াও পুলিশের দুইটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার রাতে বন্দর থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার মদনপুরের চাঁনপুর এলাকায় ওয়ারেন্টভুক্ত দুই আসামী স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান সমর্থক দিপু ও সুজনকে গ্রেফতার করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় দিপু ও সুজনের সহযোগীরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ ও প্রতিরোধ করে।
এতে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ঘ হয়। এক পর্যায়ে তারা গ্রেফতারকৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয় ও পুলিশের দুইটি গাড়ি ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও আত্মরক্ষার্থে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে।