বন্দরে বেপরোয়া স্বামী-স্ত্রী’র বিরুদ্ধে ডিসি-এসপি বরাবর পঞ্চায়েতের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিবেদেক) : বন্দরে বেপরোয়া দম্পতি মহসিন-মনির সীমাহীন অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। ওদের বেপরোয়া আচরণ, অস্বাভাবিক চলাফেরা এবং পৈশাচিকতার শিকার স্থানীয় ইমাম-মুয়াজ্জিন-মুসুল্লি থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। আর তাই এবার নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) এবং বন্দর উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে নোয়াদ্দা এলাকার পুর্বপাড়া পঞ্চায়েত কমিটি।

জানা গেছে, সম্প্রতি সীমানা বিরোধ ও আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে মহসিনের নেতৃত্বে বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে বন্দর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। তবে সুচতুর মহসিন ঘটনা ঘটিয়ে থানায় মামলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে আদালতে গিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ করে এলাকার অনেককেই বিবাদী করেছে। যারাই মহসিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদরেকেই মামলা কিংবা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরা যোগসাজোস করে বিরোধকারীদের ছবি এবং ভিডিও ইডিট করে অপপ্রচার চালিয়ে সম্মান ক্ষুন্ন করে চলছে।

এছাড়াও পুর্ব নোয়াদ্দা জামে মসজিদ ও পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ জলিল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ রয়েছে, মশিউর রহমান মহসিন (৩৮) এবং স্ত্রী মনিকা আক্তার মনি (৩৬) দীর্ঘ বছর যাবৎ এই দম্পতির সাথে কিছু অসাধু প্রশাসনিক কর্তাদের সখ্যতা রয়েছে। যাদের সাথে লেনদেন এবং যোগসাজশের মাধ্যমে নানা অপরাধমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী মতাদর্শের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী চার খলিফা নামে পরিচিত তাদের ঘনিষ্ঠজন ছিল এই মনিকা আক্তার মনি। তাদেরই ছত্রছায়ায় একসময় নোয়াদ্দাসহ আশপাশ এলাকায় শুরু করে মাদকের কারবার। রয়েছে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং মিথ্যা মামলায় সমাজের নিরীহ জনতাকে হয়রানি করার অভিযোগ।

তাছাড়াও জাল দলিল সৃজন করে আপন সহোদর ভাই-বোনদের সম্পত্তি দখল, অন্যের জমি নিজের দাবী করে মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ মানসিক সামাজিক অর্থনৈতিক নানাবিধ হয়রানীতে এই মহসিন-মনি দম্পতির জুরি অন্যতম। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আইনের ফাঁক-ফোকর এবং অসাধু পুলিশের সংশ্লিষ্টতায় বিভিন্ন শঙ্কা থাকার কারণে, বিগত আওয়ামী সরকার আমলে উল্লেখিত দম্পতির বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সামাজিকভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নাই। ফলে এই দম্পতি দিনে দিনে আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

তাই পঞ্চায়েত কমিটির দাবী, এই দম্পতিকে নজরদারীতে রেখে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান সংগ্রহ করা হোক। প্রয়োজনে স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির সম্মূখীন করা হোক। ওই দম্পতি যেন আর কখনো, কোনো অপরাধে না জড়ায়। যদি জড়িয়ে পড়ে বা সংশ্লিষ্টতা থাকে প্রমাণিত হলে এই সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হবে লিখিতভাবে অঙ্গিকারনামা নেয়া হোক। তা না হলে এই সমাজে মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে। এমনকি অপরাধের সর্গরাজ্য গড়ে উঠবে। নোয়াদ্দা এলাকার পঞ্চায়েত কমিটি একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তারা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আগে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত