নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মো: সহিদুল ইসলাম শিপু ) : সরকারি প্রাকৃতিক সম্পদকে কিছু অর্থ লোভী ব্যক্তিরা তাদের ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করেন তাই তারা কোনটি বৈধ কোনটি অবৈধ বিবেচনা না করে সরকার তথা দেশের জনগনকে ঠকিয়ে নিজের ইচ্ছে মত যখন তখন গ্যাস সংযোগের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্য হারাচ্ছে এবং অবৈধ সংযোগ বৃদ্ধির ফলে বৈধ গ্রাহকদের গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় গ্যাস সংকটে ভুগছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানতে পারা যায়, অবৈধ সংযোগ স্থাপনের সময় কতিপয় পুলিশ সদস্য অবৈধ সুবিধা নিয়ে স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে। এছাড়া সরকারি দলের জন প্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে বন্দরের আনাচে কানাচে বিশাল বিশাল ভবনে হাজার হাজার অবৈধ চুলা জ¦লছে। সচেতন মহলের ধারনা অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে গ্যাসের চাপ বাড়বে এবং সরকারের রাজস্য ক্ষতি কম হবে।
এ ব্যাপারে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে নারায়ণগঞ্জ বার্তার প্রতিনিধি কে জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন, বন্দর ইউনিয়ন, মুছাপুর ইউনিয়ন, ধামগড় ইউনিয়ন, মদনপুর ইউনিয়ন, নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড ২৬নং ওয়ার্ড, ২৫নং ওয়ার্ড, ২৪নং ওয়ার্ড, ২৩নং ওয়ার্ড, ২২নং ওয়ার্ড, ২১নং ওয়ার্ড, ২০নং ওয়ার্ড ও ১৯নং ওয়ার্ডে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি। বৈধ সংযোগের তুলনায় অবৈধ সংযোগের সংখ্যা বেশি। কিছু অসাধু অর্থ লোভী ব্যক্তিরা অর্থের বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে বছরের পর বছর সরকারি বিল ফাঁকি দিয়ে চুলা জালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। রাতের আধারে অবৈধ সংযোগ স্থাপনের সময় পুলিশ সংবাদ পেয়ে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে স্থাপনের সুযোগ করে দিয়ে চলে আসে। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের মত বৈধ গ্রাহকদের। আমারা বৈধ গ্রাহদের সরকারের কাছি দাবি গ্যাস চোর সিন্ডিকেটদের আইনের আওতায় এনে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমাদের গ্যাসের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।