নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : পার্লার কর্মী ধর্ষণের ঘটনার ২০ দিন পর অবশেষে বন্দর থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ লম্পট ধর্ষক জুট ব্যবসায়ী মনির হোসেন (৩০)কে আটক করেছে। ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) রাতে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডস্থ একরামপুর ইস্পাহানী এলাকা থেকে ওই জুট ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৩৪(১)২০।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পার্লার কর্মী ছোট বেলা থেকে তার খালা ফিরোজার সাথে বন্দর লের্জাস এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। পার্লার কর্মীর স্বামী বাবুল মিয়ার মাধ্যমে একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে জুট ব্যবসায়ী মনির হোসেনের সাথে পার্লার কর্মী পরিচয় হয়। এর ধারাহবাহিকতায় গত ৪ জানুয়ারী রাতে পার্লার কর্মী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বন্দর থানাধীন ইস্পাহানী ঘাটে জুট ব্যবসায়ী মনির হোসেনের সাথে দেখা হয়। পরে জুট ব্যবসায়ী মনির হোসেন নদী পার করে দেওয়ার কথা বলে পার্লার কর্মীকে তার ভাড়াকৃত নৌকায় উঠায়। ওই সময় মনির হোসেন পার্লার কর্মীকে নৌকায় মধ্যে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় লম্পট মনির হোসেন অজ্ঞাত নামা নৌকা চালকের সহায়তায় পার্লার কর্মীকে উচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূবর্ক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা ওই রাতেই ইস্পাহানী এলাকায় মনির হোসেন মিয়ার জুটের গুডাউনে নিয়ে একই এলাকার আরাফাত আকনের সহযোগিতায় পুনরায় ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ লম্পট মনিরকে আটক করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের সাথে সাথে আমরা ধষৃককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে ধর্ষণ মামলায় সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছি। সে সাথে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরিক্ষা শেষে একই দিনে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছি।