নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে বড় ভাই ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রবাস ফেরৎ ছোট ভাই আহতের ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ধারালো অস্ত্রসহ ৮ সন্ত্রাসীকে আটক করে বন্দর থানা পুলিশে সোর্পদ করেছে। ৩ই ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ত্রিবেনী পূর্বপাড়া এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা। প্রতিবেশীরা দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে জখম অবস্থায় ছোট ভাইকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
আহত প্রবাস ফেরৎ মোক্তার হোসেন বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ত্রিবেনী পূর্বপাড়া এলাকার হাজী সিরাজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে আহত মোক্তার হোসেন বাদী আটককৃত ৮ জনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৬(২)২১ ধারা- ১৪৩/ ৪৪৭/ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৪২৭/ ৫০৬/১১৪ পেনাল কোড- ১৮৬০।
আটককৃত সন্ত্রাসীরা হলো বন্দর উপজেলার মুখফুলদী নয়ানগর এলাকার আজিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী রাজু (২২) একই এলাকার দ্বীন ইসলাম মিয়ার দুই ছেলে ওসমান গনী (২৮) ও সিয়াম (২২) একই এলাকার আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে বাপ্পি (২২) বন্দর রাজবাড়ী এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে হাসনাত রাজু (৩২) বন্দর ঝউতলা এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে হাসান (৩০) পুরান বন্দর নূরপুর এলাকার হুমায়ন কবির মিয়ার ছেলে রায়হান (২০) বেজেরগাও এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে সিয়াম (১৮)। পুলিশ আটককৃত অস্ত্রধারী ৮ সন্ত্রাসীকে মারামারি মামলায় আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ ।
এ ব্যাপারে আহত ছোট ভাই মোক্তার হোসেন গনমাধ্যমকে জানান, আমি গত ৫ দিন পূর্বে মালেশিয়া থেকে দেশে আসি। আর্থিক লেনদেন নিয়ে আমার সাথে আমার বড় ভাই আক্তার হোসেনের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে ব্শে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সকাল ১১টায় আমার বড় ভাইয়ের নিকট পাওনা টাকা চাইলে এ নিয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আমার বড় ভাই আক্তার হোসেন ও তার সন্ত্রাসী ছেলে হৃদয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে আমার বাড়ীতে অর্তকিত হামলা চালিয়ে দরজা ও জানালা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ওই সময় আমি বাধা দিতে গেলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাকে বেদম ভাবে জখম করে। পরে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ২টি দা ও একটি লোহার রডসহ উল্লেখিত ৮ সন্ত্রাসীকে আটক পুলিশে সোর্পদ করে। ওই সময় জনতার চোখে দূলা দিয়ে সন্ত্রাসী হৃদয় ও চর ইসলামপুর এলাকার মৃত বাদশা সরদারের ছেলে সবুজ (৪০) কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।