নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরে পাষন্ড স্বামী ও শ্বশুরের নির্যাতন সইতে না পেরে ২ সন্তানের জননী সুমা আক্তার (২৫) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ১ এপ্রিল (বুধবার) সকালে ৮টায় বন্দর থানার মদনপুরস্থ ফুলহর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে দুপুরে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের র্মগে প্ররণ করেছে। এ ব্যাপারে আত্মহননকারি গৃহবধূর মামা জাবের হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দাযের করেছে।
নিহত গৃহবধূর মা রেহেনা বেগম জানান, মেয়ের জামাতা শাহাদাত হোসেন ও তার পিতা মোতালেব মিয়া র্দীঘ দিন ধরে বাড়ির পাশের্^ ফুলহর স্ট্যান্ডে চা-পান দোকানদারি করে আসছে। ৩০ র্মাচ সোমবার শ^শুড় মোতালিব মিয়া শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী সুমা আক্তারকে সুপারি কাটতে বলে। ওই সময় ২ সন্তানের জননী সুমা আক্তার শাররিক অসুস্থ্য থাকার কারনে সুপারি কাটতে অনিহা প্রকাশ করে। সুপারি না কাটায় জামাতার কাছে বিচার দেয় মেয়ের শ্বশুড় । পাষান্ড স্বামী শাহাদাত হোসেন রাগে ক্ষোখে গত ৩১ র্মাচ মঙ্গলবার রাতে সুমা বেগমকে বেদম পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় গৃহবধূ সুমা আক্তার রাগে ক্ষোভে বুধবার সকাল ৮টায় তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি পুলিশকে জানালে ধামগড় ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক নাহিদ মাছুম দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাহিম মাসুম লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মামা জাবের হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। ময়না তদন্তের পর বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।