নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার মনে হয়, বন্দরবাসী একটা কলঙ্কের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে৷ অসম্মানিত জায়গা থেকে সম্মানিত হয়েছে৷ কালো টাকার কাছে পরাজিত না হয়ে একজন ভালো মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে৷ চেয়ারম্যানের ব্যাপারে আগামীকাল আমাদের বিজয় মিছিল হবে ইনশাল্লাহ৷
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর পৌনে ৩টায় বন্দর উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রার্থী এমএ রশীদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা প্রদান শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷ এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিন্টু বেপারীর কার্যালয়ে সাংসদকে সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন এমএ রশীদ৷
শামীম ওসমান বলেন, এই এলাকায় বিগত সময়ে চেয়ারম্যান ছিলেন আতাউর রহমান মুকুল৷ তার দলীয় পরিচয় বড় কথা নয় আমি জানি, সে আমার ভাই৷ সে বন্দরে জাতীয় ইলেকশনের সময় তিনি তার দলের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এলাকার উন্নয়নকে৷ তাই আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ৷ কে কোন দল করি বড় কথা নয়, উন্নয়ন সবাই মিলে করতে হবে।
তিনি বলেন, আমার হাতে তৈরি, আমার ছোট ভাই সালাম ছিল উপজেলার প্রার্থী, আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ দেলোয়ার সাহেবও প্রার্থী ছিলেন৷ আরো অনেকেই প্রার্থী ছিলেন, আরো দুয়েকজন প্রার্থী আছেন৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ সাহেবকে মনোনয়ন দেয়ার পর আমার সাথে কথা হয়েছে সালাম, দেলোয়ার ভাই, মুকুল সাহেবের সাথে কথা হয়েছে৷ তারা বলেছেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান করা৷ সবাই জাতির জনকের কন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন৷
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ৷