নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বক্তাবলীতে ভূমিদস্যু আনোয়ার গং এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করার পর জোরপূর্বক ডেজিং পাইপ বসানো হয়েছে। যা নিয়ে দীর্ঘ দিনের এ বিবাদটি সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে বলেও আশংকা করছেন স্থানীয়রা। তবে এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান এম শওকত আলী কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে যেন কোন বিবাদে না জাড়ায় এজন্য দুই পক্ষকে নিষেধ করা হয়েছে। দুই পক্ষকে কাগজ পত্র নিয়ে বসার জন্য বলা হয়েছে। আগামীকাল বসার পর কাগজ পত্র দেখে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কাউকে জোর খাটিয়ে কিছু করতে দেওয়া হবে না।আওয়ামীলীগের নাম করেও কেউ কোন অন্যায় করলে ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে অসহায় জমির মালিক ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।এতে আনোয়ার হোসেন (৩৫), আমজাদ হোসেন (৩৭) উভয় পিতা চাঁনমিয়া, দেলোয়ার হোসেন (৩৫) পিতা মৃত আনসার আলী, সর্ব সাং রাজাপুর, রফিক (৫০) পিতা মৃত হযরত সিপাই, জসিম (৩৮) পিতা আহাম্মদ উভয় সাং গোপালনগর। এই ৫জন সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়, রাজাপুর গ্রামের পঞ্চয়েত প্রধান প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা ইয়াদ আলী মাষ্টারের ছেলে মেয়েরা উত্তরাধীকার ও ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। ১৫/২০ দিন আগে তার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন এই জমির কিছু অংশ বালু ভরাটের কাজ শুরু করলে এলাকার স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাধা প্রদান করিয়া চাঁদা দাবি করে হুমকি প্রদান করে এবং তারা উল্টো ঐ জমিটি ভরাট করে দখলে নেওয়ারও হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে তারা বালু ভরাটের জন্য পাইপ সংযোগ প্রদান করে।
জমির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমি আমার জমি ভরাট করতে আসলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ভুমিদস্যু আনোয়ার সহ তার বাহিনী বাধা প্রদান করে । পরবর্তীতে আমার ভাড়াকৃত ড্রেজারটি সরিয়ে তাদের ভাড়াকৃত ড্রেজার স্থাপন করে জমি ভারাটে চেষ্টা চালায় এবং আমাকে হুমকি দিয়ে তেড়ে আসলে লোকজন আমাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। তারপর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলীকে জানালে তিনিও মোবাইলে তাদের ড্রেজারের পাইপ স্থাপনের জন্য নিষেধ প্রদান করেন। এবং অভিযোগের পর থানা থেকে তদন্ত কর্মকর্তা এলাকায় এসে ড্রেজারের মালিককে পাইপ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়ে যান এরপর থেকে আনোয়ার ও তার দলবল আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের নিষেধ অমান্য করে রাতের আধারে নতুন করে আরো পাইপ সংযোগ স্থাপন করে। আমি এর সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করছি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আনোয়ার জানায়, ওই জায়গার মালিক একাধিক। আমরা চেয়ারম্যানের কাছে বসবো। তবে জাহাঙ্গির চেয়ারম্যানকে না মেনে থানায় অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে আমাদের অসন্তুষ্টি রয়েছে। তবে জাহাঙ্গির আমাদের নামে মিথ্যা অভিয়োগ দিয়েছে। আমরা কিভাবে ওই জমি দখলের মত সাহস রাখি। যেহেতু তারাই তো অনেক প্রভাবশালী।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার এসআই রওশন ফেরদৌস জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বালু ভরাট করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত আনোয়ারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে বসবেন। তবে আমি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।