নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : ফেনীতে উপ পরিদর্শকসহ (এসআই) পুলিশের তিন সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। এর আগে ১৮ই এপ্রিল রবিবার লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় মাস্ক ছাড়া বের হওয়া এবং রিকশা থেকে নামতে বলার জেরে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের হাতাহাতির আলোচিত ঘটনায় এই পদক্ষেপ নেয়া হলো।
গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম। তিনি জানান, ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ। সে কারণে তিনি এ ধরনের আচরণ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতো।
পুলিশ সুপার মাইনুল আরও জানান, দায়িত্বশীল আচরণ না করায় ঘটানাস্থলে নিয়োজিত এসআই যশমন্ত মজুমদারকে শাস্তিমূলকভাবে ফেনী মডেল থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার নুরুনবী জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন উপ–পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ–পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, পুলিশ সুপারের আদেশে প্রশাসনিক সংযুক্তির কথা উল্লেখ করা আছে।
১৯ই এপ্রিল সোমবার রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নূর নবী স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তাদের ফেনী থানা থেকে সরিয়ে ফেনী পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুল এলাকার দায়িত্বে ছিলেন।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে রবিবার বিকালে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা হয়।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, মাস্কবিহীন এক যুবক রিকশায় শহরের উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। ফেনী মডেল স্কুলের সামনে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা রিকশার থামান।
ভিডিওতে দেখা যায়, শার্টের কলার ধরা পুলিশ সদস্যকে যুবক বলেন, তুই অন্য রিকশা ছাড়ছিস, আমাকে কেন আটকাইছিস। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন যুবক। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তার। ধস্তাধস্তির মধ্যে এক পুলিশ সদস্য যুবককে পাগল বলেন। তখন এই পাগল বলার কারণ জানতে চান ওই যুবক। হাতাহাতির একপর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্যরা যুবককে জাপটে ধরেন এবং হ্যান্ডকাফ পরান।
স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবক ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।