নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : কক্সবাজারে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফতুল্লার গার্মেন্ট ব্যবসায়ী এস.এম জাবের এর লাশ দাফনের জন্য যশোরে নিয়ে গেছে তার স্বজনরা। নিহত জাবের যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের এসএম জাকারিয়ার ছেলে। তিনি কুতুবপুরের গিরিধারার ৬ নং রোডের ২১৬, তায়েফ ভবনে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাড়া বাসায় সস্ত্রীক বসবাস করতো। ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
এরআগে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে এস.এম জাবের নামের এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন। গত ১৩ জুলাই শনিবার রাতে পাওনা টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে ফেনীতে রওয়ানা হওয়ার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন তথ্য জানিয়ে স্বামীর খোঁজ পেতে ফতুল্লা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার স্ত্রী ইসমোতারা।
পরবর্তিতে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়া গার্মেন্ট ব্যবসীয় এস.এম জাবের টেকনাফে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান। গত বুধবার (১৭ জুলাই) ভোরে টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া শিকলপাড়া নাফ নদীর তীরে বিজিবির সাথে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, তিন রাউ- কার্তুজ এবং ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কমান্ডার লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাদিমুড়ার শিকলপাড়া এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসছে এমন খবরে দমদমিয়া বিজিপির সদস্যরা অভিযান চালায়। ভোরের দিকে নাফনদী পার হয়ে কিছু লোক এপারে উঠলে বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করে। তারা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। এ সময় ১টি এলজি, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
এদিকে কক্সবাজার থেকে জাবের এর লাশ যশোরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের ভাই হাসিব জানায়, আমার ভাই সাব-কন্ট্রাকটর হিসেবে র্দীঘদিন যাবত গার্মেন্ট ব্যবসা করে আসছিল। সে এধরণের কাজে লিপ্ত হবে তা আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা। সে খুবই সরল প্রকৃতির মানুষ ছিল। আমার ধারনা কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার ভাইকে ফাসিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। অন্যায়কারী তার শাস্তি পাবে এটা আমরাও চাই। কিন্তু এর রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাদের জোড় দাবী রইল।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, আমরা জাবেরকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। সর্বশেষ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে জাবেরের সর্বশেষ অবস্থান টেকনাফের উখিয়ায় পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তর সহ উখিয়া থানায়ও যোগাযোগ করি। পরবর্তিতে এমন একটি ঘটনা জানতে পারি। নিখোঁজের পরিবারকে জানালে তারা কক্সবাজার গিয়ে মরদেহ চিহ্নত করে, পরে তারা যশোরে উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানতে পারি।