ফতুল্লায় চাঁদাবাজ মনিরুলের অব্যাহত হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ব্যবসায়ী পরিবার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে থানায় অভিযোগ করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে একটি ব্যবসায়ী পরিবার। এছাড়াও ওই পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে মারধর করারও অভিযোগ পওয়া গেছে। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় ফতুল্লা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ওইসময় তাদের একটি কক্ষে আটকে রেখে শারিরিক লাঞ্ছিত করা সহ ৫৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মনিরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।

পরে ৩১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে সেখান থেকে ওইদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও এখনও বাকি চাঁদার দাবিতে থেমে নেই মনিরুল গংয়ের হুমকী। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেও বিপাকে এখন ভুক্তভোগীরা। তাছাড়াও এই মনিরুলের নানা অপকর্মে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী, রয়েছে একাধিক মামলা। তবে দ্রুত পুলিশ প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন না করলে বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও আশংকা করছে স্থানীয়রা।

অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান (৩৫) ও সুজন আহম্মেদ মহসিনকে (৩২) শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওইদিন ছেলেদের বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে পিতা শফিউদ্দিন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে সুতা বিক্রি করে ও নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক লি: নারায়ণগঞ্জ শাখার চেক নং (সিডিবি-৮৪৫৩০৯৩) মূলে ৬ লক্ষ টাকা চেক মনিরুলকে দেন। পরে তার দুই ছেলেকে ছেড়ে দেন মনিরুল গং। তবে বাকি চাঁদার দাবিতে এবং মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠিয়ে নিতে এখন নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও হয়রানী করছে, তাই আতংকিত বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী এই পরিবারটি।

উল্লেখিত চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো- মো. মনিরুল ইসলাম (৪০), মাসদাইর ৫১ শেরে বাংলা লিংক রোড এলাকার মৃত হাজী শফিকুল ইসলাম ছেলে। দুইনং বিবাদী শফিকুল ইসলাম সনি (৪০), ৩নং বিবাদী মনির হোসেন (৪১) পিতা অজ্ঞাত, উভয় জামতলা ধোপাপট্টি এলাকার বাসিন্দা।

তবে এ বিষয়ে জানতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য জানা যায়নি।

add-content

আরও খবর

পঠিত